ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আনুষ্কায় উষ্ণ কোহলির জন্মদিন

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৭ নভেম্বর ২০১৬

আনুষ্কায় উষ্ণ কোহলির জন্মদিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ক্রেজি বয়’। মাঠ ও মাঠের বাইরে সমান আলোচিত এক চরিত্র। ব্যাট হাতে যেমন রানের বন্যা বইয়ে দিতে ভালবাসেন, বাইরের জীবনেও তেমনি রোমাঞ্চের অভাব নেই। বলিউড অভিনেত্রী আনুষ্কা শর্মা সেখানে বাড়তি রং...। শনিবার সকালেই ক্রিকেট-হিরোর ২৮তম জন্মদিনে অগণিত ভক্ত সম্ভবত সেরা উপহারটা পেয়ে যান, যখন রাজকোটে ইন্ডিয়ার টিম হোটেলে হাত ধরাধরি করে একসঙ্গে প্রবেশ করেন বিরাট-আনুষ্কা! তারপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোড়ন। কারণটা অনুমেয়। ইদানীং দুই অঙ্গনের দুই তুখোড় তারকার রোমান্সের রসায়নটা যে ভাল যাচ্ছিল না। সন্ধ্যায় প্রথমে অধিনায়কের মুখে কেক তুলে দেন কোচ অনিল কুম্বলে। সতীর্থদের হাত ঘুরে যার শেষ টানেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিরাটের মাথায় কেকের একটা টুকরা রেখে সেটির ভিডিও আপলোড করে ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই)। শচীন টেন্ডুলকরসহ সাবেক অনেক গ্রেট শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ধুন্ধুমার উইলোবাজের জন্মদিন উপলক্ষে তার সঙ্গে বিশেষ এক সাক্ষাতকার পর্বের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ব্যতিক্রম, সেখানে ব্যক্তিগত নয়, বরং ক্রিকেটার কোহলির আদ্যপান্তই উঠে আসে। মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি, প্রথম নেতৃত্বের স্বাদ, বিদেশের মাটিতে ভারতের পারফর্মেন্সসহ আরও অনেক কিছুই। তার নেতৃত্বেই ভারত এখন আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। ইতিবাচক কোহলি বলেন, ‘আমি এক কথায় গর্বিত। কারণ আমি এমন একটা দলের অধিনায়ক। দলে খুব বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। এরপরও আমরা গত এক বছরে অনেক ম্যাচ জিতেছি। এর বড় কারণ একটা দল হয়ে খেলতে পারা। ছেলেরা সবাই খুব ভাল মনের মানুষ, একে অন্যের খুব কাছের। একটা ভাল দল হয়ে উঠতে সবার আগে এটাই প্রয়োজন।’ গত বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে কোহলি বলেন, ‘মনে আছে, ওটা এ্যাডিলেড ছিল। ড্রেসিং রুমে সবাইকে বলেছিলাম প্রতিপক্ষ যত টর্গেট দিক আমরা জয়ের জন্য সেটা তাড়া করব। সবাই রাজি হয়েছিল। পরদিন রান তাড়া করতে গিয়ে হেরে গিয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু আমাদের ধারণা বদলে গিয়েছিল। আগ্রাসন না থাকলে, ঝুঁকি না নিলে সফল হওয়া যায় না। গত মৌসুমে আমাদের খেলায় তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।’ সাধারণত বড় মাপের ক্রিকেটার অধিনায়কের দায়িত্ব নিলে অনেক সংশয় তৈরি হয়। শচীনের মতো গ্রেটও যে দায়িত্ব সামলাতে পারেননি। কিন্তু কোহলি ব্যতিক্রম। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেনসেশনাল ব্যাটসম্যানের বক্তব্য, ‘অধিনায়কত্ব নয়, নিজেকে প্রথম ভারতের একজন টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ভাবতেই বেশি গর্ব বোধ করি। আর নেতৃত্বটা উপভোগ করি। এটাই মূলমন্ত্র।’ বিদেশের মাটিতে ভারতের অতীত ইতিহাস ভাল নয়। কোহলির অধীনে সেই অপবাদ ঘোচার পথে। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুর্দান্ত দুটি সিরিজ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যে মাঠেই খেলি না কেন, জেতাটাই আমার প্রথম লক্ষ্য। আমি সেভাবেই খেলি। এমনকি কোন ম্যাচে বাজেভাবে হেরে গেলেও। তবে এটা ঠিক প্রথম কয়েকটা টেস্টে মনে হতো, কেউই আমাদের সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে! প্রচুর ভুল করতাম। সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার জয়ের জন্যেই ঝাঁপিয়ে পড়তাম। ধোনির কাছ থেকে অনেক শিখেছি। এখনও শিখছি।’
×