ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ট্রাস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি

পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত মামলা ॥ আটক ২

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৬ নভেম্বর ২০১৬

পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত মামলা ॥ আটক ২

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চাকরির জন্য জামানতের নামে গ্রহণ করা ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যশোরে ট্রাস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শনিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে তাজমুল হক মামলাটি করেছেন। আসামিরা হলো কোম্পানির এমডি শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের হাদিউজ্জামান শাহিন, যশোর জোনাল শাখার ইভিপি ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকুড়া গ্রামের রাশেদুজ্জামান, কোম্পানির এসইউপি সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের টুটুল, কম্পিউটার অপারেটর কুষ্টিয়ার কুমারখালী গ্রামের হারুন অর রশিদ এবং সাবিনা ইয়াসমিন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- কিছুদিন আগে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে তিনি ট্রাস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে চাকরির জন্য আবেদন করেন। এছাড়া সুমন কবির, অভিজিৎ, কাজল, বিপ্লব, রায়হান জলিল, প্রিয়া রাণী, তপন ম-ল, বীথি, শ্যামলসহ আরও কয়েকজন চাকরির আবেদন করেন। এরপর কোম্পানির কর্মকর্তারা তাদের ডাকেন এবং চাকরি দেয়ার আগে তাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে টাকা দাবি করেন। তারা প্রায় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে জমা দেন। এ সময় তাদের ট্রেনিং ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তাদের আর চাকরি বা ট্রেনিং কিছুই দেয়া হয়নি। বরং তাদের বীমা করার জন্য লোক খুঁজতে বলা হয় এবং শীঘ্রই চাকরি হবে বলে টালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ গত বুধবার সকালে তারা শহরের কুইন্স হাসপাতালের পার্শ্বের কোম্পানির অফিসে যান এবং তাদের জামানতের টাকা ফেরত চান। কিন্তু কর্মকর্তারা ‘টাকা নেইনি’ বলে তাদের তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশে সংবাদ দিলে কোম্পানির লোকজন পালিয়ে যায়। তবে কম্পিউটার অপারেটর হারুন অর রশিদ এবং সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রতারণার ঘটনায় ইতোমধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
×