ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চিটাগাংয়ের গেইল ও রংপুরের আফ্রিদিই বিপিএলের চমক!

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৪ নভেম্বর ২০১৬

চিটাগাংয়ের গেইল ও রংপুরের আফ্রিদিই বিপিএলের চমক!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নেই কোন উত্তেজনা। নেই কোন উত্তাপ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) চতুর্থ আসর নিয়ে কোন আলোড়নও নেই। থাকবেই বা কিভাবে, এ টুর্নামেন্টের যে নেই কোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান! নেই তেমন প্রচার-প্রচারণাও। তাই উত্তাপহীন বিপিএলই আজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। উত্তেজনার পারদ যে উর্ধমুখী হবে, সেই সম্ভাবনাওতো এবার দেখা যাচ্ছে না। টুর্নামেন্টে যে টি২০’তে ধামাকা দেখানোর মতো বিদেশী ক্রিকেটারেরই অভাব। চিটাগং ভাইকিংসের ক্রিস গেইল ও রংপুর রাইডার্সের শহীদ আফ্রিদিতেই আবার উত্তেজনার শুরু ও শেষ দেখা মিলছে! গেইল আবার শুরুতেই খেলতে পারবেন না। যতদূর জানা গেছে, ৫ ম্যাচ খেলবেন। সেটি টুর্নামেন্টের মাঝামাঝি সময়ে। শনিবার বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের আসরের মিশন শুরু করবে চিটাগং ভাইকিংস। দলটির সঙ্গে গেইলের চুক্তি হয়েছে ৫ ম্যাচের। কিন্তু কবে আসবেন গেইল, সেটি দলের টিম ম্যানেজমেন্টও জানাতে পারছেন না। তার মানে ৫ ম্যাচ ঠিকই খেলবেন গেইল। কিন্তু সেই খেলার সূচী গেইলের হাতেই আছে। গেইল যখন মনে করবেন, তখনই খেলতে আসবেন। অন্তত চিটাগংয়ের টিম ম্যানেজার হাসানুজ্জামান ঝড়ুর কথায় তেমনটিই মনে হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের অনুশীলন শেষে ঝড়ু জানান, ‘গেইল আসবে। তবে এখনই না। পরে আসবে।’ গেইলের আসার কোন নির্ধারিত সময় জানাতে পারলেন না ঝড়ু। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, গেইলের আগমনের নিশ্চিত সময় নিয়ে চিটাগংও আছে দ্বিধায়! তাতে করে শুরুতে গেইলেরও দেখা মিলছে না। উত্তাপতো আরও কমে গেল। গেইল না আসলেও রংপুর রাইডার্স যে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিপিএলে যুক্ত হওয়া খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে খেলবে, সেই ম্যাচ দিয়েই ‘বুমবুম’ আফ্রিদি খেলবেন। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে এমনটিই জানা গেছে। তবে বৃহস্পতিবার খুলনার অনুশীলনে কিন্তু আফ্রিদিকেও দেখা যায়নি। কারণ তার আগমনের সূচী যে আগে থেকেই সন্ধ্যায় নির্ধারিত ছিল। তাই আফ্রিদি অনুশীলন করেননি। গেইল ও আফ্রিদি হচ্ছেন বিশ্ব ক্রিকেটের টি২০ ফেরিওয়ালা। দুইজনই বিশ্বের সব টি২০ লীগেই খেলেন। দুইজনই আবার জাতীয় দলে এ মুহূর্তে নেই। আফ্রিদিতো পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন। এমন অবস্থায় হতাশাই বেশি তার ভেতরে আছে। সেই হতাশা না আবার বিপিএলেও ঘিরে ধরে। তাহলেতো ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংটাই দেখা মিলবে না। আরও ফিকে হয়ে যাবে বিপিএল আসরটি। গেইল ও আফ্রিদি ছাড়াও তারকা বিদেশী ক্রিকেটার আছেন বিপিএলের এবারের আসরে। খুলনা টাইটান্সে যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কেভন কুপার রয়েছেন। তবে বর্তমানে আছেন ফর্মহীন। আরেক অলরাউন্ডার লেন্ডল সিমন্স রয়েছেন। তিনিও একই অবস্থায় আছেন। রংপুরে আফ্রিদি ছাড়াও নাসির জামসেদ আছেন। তার অবস্থাও বেগতিক। বরিশাল বুলসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্রেথওয়েট ও ইংল্যান্ডের জসুয়া কব রয়েছেন। রাজশাহী কিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামি আছেন। চিটাগংয়ে গেইল ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন স্মিথ, পাকিস্তানের শোয়েব মালিক রয়েছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডবাসী আসহার জাইদি আছেন। তারকা খ্যাতি এ ক্রিকেটারদের গায়েও সেঁটে আছে। তবে কেউই গেইল ও আফ্রিদি সমতুল্য নন! টি২০তে যে আমেজ গেইল, আফ্রিদি দিতে পারেন, তা কী আর তাদের কাছ থেকে মিলে? তবে শ্রদ্ধাতুল্য আরও দুইজন আছেন। যাদের নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এ দুইজন হচ্ছে শ্রীলঙ্কান দুই ক্রিকেটার, দুই লিজেন্ড, দুই বন্ধু, বলতে গেলে দুই যুগলও। তারা হচ্ছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। দুইজনেই ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলবেন। শনিবার ঢাকার ম্যাচও আছে। ‘ফর্ম ইজ টেম্পরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’ এ কথার যথার্থতা বরাবরই জাতীয় দলে থাকতে এ দুইজনের বেলাতে মিলে যেত। জাতীয় দল থেকে অবসরের পরও বিভিন্ন দেশের লীগগুলো খেলে চলেছেন এ দুইজন। সাম্প্রতিক ফর্মও দারুণ। এ দুই ক্রিকেটারের ব্যাটিং দেখতে সবাই মুখিয়ে থাকেন।
×