ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বার্সিলোনাকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ ম্যানচেস্টার সিটির

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৩ নভেম্বর ২০১৬

বার্সিলোনাকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ ম্যানচেস্টার সিটির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এরচেয়ে মধুর প্রতিশোধ বুঝি আর হয় না! গত কয়েক মৌসুমে নিয়মিত বার্সিলোনার মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু প্রতিবারই হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে ইংলিশ ক্লাবটিকে। চলতি মৌসুমেও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে গ্রুপের পর্বের প্রথম লেগের ম্যাচে বার্সার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল সিটি। বাজে ওই হারের জ্বালা এবার ভালভাবেই জুড়িয়েছে সিটিজেনরা। মঙ্গলবার রাতে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ম্যানসিটি ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সিলোনাকে। সিটির ইতিহাদ স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির গোলে কাতালানরা এগিয়ে গেলেও ইকাই গুন্ডোগানের দুই গোল ও কেভিন ডি ব্রুইনের এক গোলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্ডিওলার ম্যানসিটি। এই জয়ে নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে ইংলিশ পরাশক্তিরা। আর হারের কারণে শেষ ষোলোর জন্য অপেক্ষা বাড়লো বার্সার। গ্রুপের আরেক ম্যাচে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডব্যাচ ও সেল্টিক ১-১ গোলে ড্র করে। দু’টি করে ম্যাচ হাতে রেখেই নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল, ফরাসী চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি), স্প্যানিশ ক্লাব এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও জার্মান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্ন মিউনিখ। ‘এ’ গ্রুপে পরশু রাতে আর্সেনাল ৩-২ গোলে লুডোগোরেটস রাজগার্ডকে ও পিএসজি ২-১ গোলে বাসেলকে পরাজিত করে। গ্রুপে আর্সেনাল ও পিএসজি দু’দলেরই পয়েন্ট ১০ করে। বাকি দু’টি দলের বাদ পড়া নিশ্চিত হয়েছে। ‘ডি’ গ্রুপে টানা চার জয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে এ্যাটলেটিকো। পরশু রাতে তারা ২-১ গোলে হারায় রোস্টভকে। ফরাসী সুপারস্টার এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান একাই করেন দুই গোল। রবার্ট লেভানডোস্কির জোড়া গোলে ভর করে বেয়ার্ন মিউনিখ ২-১ গোলে হারায় আইন্দহোভেনকে। গ্রুপে এ্যাটলেটিকোর পয়েন্ট ১২ আর বেয়ার্নের ৯। বাকি দুই দল আইন্দহোভেন ও রোস্টভের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। সিটির মাঠে অবশ্য শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বার্সিলোনা। প্রথম আধাঘণ্টা পুরোপুরিই আধিপত্য ছিল অতিথিদের। কিন্তু পরের সময়টা সিটি রাজত্ব করে। স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে যায় বার্সার রক্ষণ। সিটির প্রাধান্য এমনই হয় যে এই সময়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি বার্সিলোনার সেরা আক্রমণশক্তিকে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা করেছিলেন মেসিই। গোলের মধ্যেই আছেন আর্জেন্টাইন তারকা। আগের ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিক। তার পা থেকেই আসে প্রথম গোল। ২১ মিনিটে সার্জিও এ্যাগুয়েরোর আক্রমণ প্রতিহত করে বক্সের মধ্য থেকেই পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন মাশ্চেরানো। সেই বল নেইমার পেয়ে দেন মেসিকে। বলটি পেয়ে সিটির গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান মেসি। পিছিয়ে পড়ার পর হুস হয় স্বাগতিকদের। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ইতিহাদ স্টেডিয়ামকে নাচিয়ে সমতায় ফেরে সিটি। ৩৯ মিনিটে গোল করেন গুন্ডোগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে তুলে নেয় সিটি। ৫১ মিনিটে একের পর এক আক্রমণের ফলও পায় তারা। ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত ফ্রিকিকে এগিয়ে যায় গার্ডিওলার দল। ৭৪ মিনিটে নাভাসের ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করে সিটিকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন সেই গুন্ডোগান। বার্সিলোনা গোলরক্ষক টের-স্টেগেন হ্যান্ডবলের দাবি করলেও রেফারি অবশ্য কর্ণপাত করেননি। ম্যাচটি ছিল সিটির জন্য বাঁচামরার। নকআউট পর্বে খেলতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না। তাই জিতে মহাখুশি দলটির কোচ পেপ গার্ডিওলা। তিনি ম্যাচ শেষে বলেন, আমি আমার দলের খেলায় খুব খুশি। এই প্রথম তারা বিশ্বের সেরা একটি দলকে হারাল। তিনি আরও বলেন, ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট বার্সিলোনা দুর্দান্ত খেলেছে। আমাদের বেশ কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু প্রথম গোলটি আমাদের খেলা পাল্টে দিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে তো আমরা অনেক পাল্টা আক্রমণ করেছি।
×