ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে নদী দখল করে স্থাপনা

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

যশোরে নদী দখল করে স্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস থেকে জানান, অভয়নগরে টেকা ব্রিজ সংলগ্ন টেকা নদীর জায়গা একের পর এক দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হলেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে। গত এক মাসে টেকা নদীর জায়গা দখল করে একটি পাকা ও দুটি সেমিপাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হলেও দেখার কেউ নেই। রবিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজু, বাচ্চু টেকা নদীর জায়গা দখল করে নির্মাণ করছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাপারে রাজু জানান, এ পর্যন্ত টেকা নদীর জায়গা দখল করে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। কেউ কিছু না বলায় খালি জায়গা পেয়ে আমরাও দখল করে একটি হোটেল নির্মাণ করছি। রবিন কুমার একইভাবে টেকা নদীর জায়গা দখল করে পাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া নির্মিত হয়েছে রাকা ডেকারেটর, মুিদ দোকান, মাছের ডিপো, মোটরসাইকেল গ্যারেজ ও ইলেকট্রিক দোকানঘর। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মনিশংকর জানান, এভাবে জায়গা দখল হতে থাকলে এক সময় টেকা নদী মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদীর ¯্রােতের গতিধারা ঠিক রাখা। মান্দায় হাটের জমি নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর হাটের কাঁচা তরকারি পট্টির সরকারী জমি একে একে জবরদখল করে নিচ্ছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এ পর্যন্ত ৬টি দোকানঘর নির্মাণ করেছে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম ম-ল। বর্তমানে প্রসাদপুরহাটের সরকারী গুদাম ঘরের সামনের অংশ উপজেলা সদরের কামারকুঁড়ি মৌজার জেএল নং ৮৪ এর প্রসাদপুর বাজারের আরএস ১নম্বর খতিয়ানের ৮১০, ৮১২ ও ৮১৩ নং দাগের জমিতে অবৈধভাবে ১৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের এই ঘর দুটির নির্মাণ কাজ চলছে। ছোটবেলালদহ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন ম-লের ছেলে ও আ’লীগ নেতা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম ম-লের আরও দুটি নতুন ঘর নির্মাণ শুরু করে দিয়েছে গত দুর্গাপূজার মধ্যে থেকে। বর্তমানে প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় ও বাজারে আসা লোকজনের ভিড়ের মধ্যে খুবই জোরেশোরে ৬-৭ রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিকদের দিয়ে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ করানো হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যেন দেখার কেউ নেই। প্রশাসন যেন চোখে মুখে কুলুপ এঁটে দেখেও না দেখার ভান করে নীরব ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত নজরুল প্রায় বছর দেড়েক আগে বর্তমানে কাঁচা বাজারের ১৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১১ ফুট প্রস্থের ঘরটি রাতের অন্ধকারে নির্মাণ করে তারই আত্মীয় সিদ্দিকের ছেলেকে টেইলার্স দোকান করতে ভাড়া দেন। বর্তমানে বেলাল হোসেন নামে এক মাদ্রাসা মঞ্জিল লাইব্রেরীর মালিককে, দ্বিতীয়বারে গণশৌচাগারের অংশটি বাদ দিয়ে দখল করে নির্মিত ২টি ঘর মুদি ব্যবসায়ীকে ভাড়া দিয়েছেন। অপর দিকে ঈদের মধ্যে তৃতীয় দফায় নির্মাণকৃত ঘর দুটি দুই মুদি দোকানিকে ভাড়া দেন। এতে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সম্প্রতি এসব জবরদখলের ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় চতুর্থবারের মতো সরকারী জমি দখল করে আবারো নতুন দুটি দোকানঘর নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। তবুও প্রশাসনের কোন মাথাব্যথা নেই। উল্টো অভিযোগকারী সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের সার্জন ডাক্তার ফজলুর রহমানকে মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ করে নির্মাণ কাজ খুব জোরেশোরে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
×