ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সীমাহীন দুর্ভোগ

ঢামেকের রোগীরা এ্যাম্বুলেন্স মালিক-সিন্ডিকেটের কবলে

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

ঢামেকের রোগীরা এ্যাম্বুলেন্স মালিক-সিন্ডিকেটের  কবলে

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় দেশের বৃহৎ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। সেখানে জরুরী সেবা দিতে এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে মাত্র চারটি। আর এই সুযোগ নিচ্ছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে অনিবন্ধিত বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সগুলো। আর এসব এ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছেন রোগীরা। এরা পুলিশ ও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের চোখের আড়ালে হাসপাতালের ভেতর থেকে রোগীর আত্মীয় স্বজনকে বাইরে নিয়ে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের ভাড়া আদায় করছে। আর এরফলে অনিবন্ধিত বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট কবলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে রোগীরা। রবিবার সকাল থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত একই হাল সেখানে। এদিকে সোমবার ঢামেক হাসপাতালে অবৈধ এ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্যের অভিযোগে দুই জনকে ছয় মাসের কারাদ- দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার সকালে জরুরী বিভাগে মূল ফটকে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের চাপায় পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নেয়ার পর থেকে অনিবন্ধিত এ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটের নামে মোটা অঙ্কের ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে হাসপাতালের রোগী ও তার আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে। দুদিনে এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে হাসপাতালে রোগী ও তার স্বজনরা। সোমবারও নিবন্ধন ছাড়া এ্যাম্বুলেন্স ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশপাশে দাঁড়াতে দিচ্ছে না পুলিশ। আর এই সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৪৬ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাাতলের যাত্রা শুরু। সেই থেকে এই সেবা বহুগুণে বাড়লেও প্রায় সাত দশকে এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে চারটি হয়েছে। অবশ্য এই চারটি এ্যাম্বুলেন্সও রোগীর প্রয়োজনে লাগছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এ্যাম্বুলেন্সগুলোর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তাদের নানা জরুরী প্রয়োজনে এই চারটি এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার হচ্ছে। সরকারী এ হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স সেবা পুরোটাই তাই নির্ভর করছে বেসরকারী খাতের ওপর। আর যে চারটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে সেগুলোর কোনটিতেই মারাত্মক অসুস্থ বা আহতদের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, কার্ডিয়াক মনিটর বা আইসিইউ সুবিধা নেই। সর্বশেষ দুই বছর আগে বার্ন ইউনিটে দুটি এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়। হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ও নতুন ভবন মিলে ৭৪টি ওয়ার্ডে ২৬ শ’ বেড রয়েছে। এতে প্রতিদিন প্রায় পাচঁ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। কেবল জরুরী বিভাগেই প্রতিদিন গড়ে ৮ শ’ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর ভর্তি হচ্ছেন প্রায় ৫ শতাধিক রোগী। আর এসব রোগীকে আনা নেয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতালের সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না থাকায় কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে জরুরী রোগীদের হাসপাতালে আনতে হয় স্বজনদের। অনেকের পক্ষে এত টাকা খরচ করা সম্ভব হয় না বলে অটোরিকশায় করে হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা হয়। বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ধর্মঘটের মাঝে সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে রোগীকে নামানোর জন্য ট্রলির অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেল বাবুল নামে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে। তিনি ৫ হাজার টাকা খরচ করে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সে মানিকগঞ্জ থেকে রোগী নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, টাকা বেশি নিলেও কোন উপায় নেই। সরকারী এ্যাম্বুলেন্স কি আমাগো দিব। কি আর করমু বেশি টাকা ভাড়া নিলেও রোগী জান বাঁচানো ফরজ। একই অবস্থায় পুরনো ঢাকার জুরাইন থেকে ১ হাজার টাকায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী এনেছেন ইউনুস নামে আরেক ব্যক্তি। সোমবার সকালেও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে বাইরে থেকে কোন এ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে আসলে কেউ ওই এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। বাইরে থাকা কয়েক চালক জানান, গাড়িতে রোগী নেয়া যাবে না। নিলে ঝামেলা হবে। দেখেন হাসপাতালের বাইরে থাকা এখানে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। এ্যাম্বুলেন্সে রোগী পেলে রক্ষা নেই। তারা নিষেধ করছে রোগী না নিতে, ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন ঢামেক হাসপাতালের অনিবন্ধিত বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সে মালিক শ্রমিক সমিতি। অন্যদিকে প্রকাশ্যে জরুরী বিভাগে সামনে অনিবন্ধিত বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স যাবে না বললেও আশপাশে ঘোরাফেরা করা চালক পরিচয় কয়েকজন জরুরী বিভাগের সামনে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষারত রোগীর স্বজন গোপনে ডেকে এনে বলছে, এ্যাম্বুলেন্স পেছনের গেটে আছে। লাগলে নিয়ে আসি। একটু সামনের দিকে এগিয়ে যান। তবে ভাড়া কিন্তু বেশি লাগবে। হাসপাতালের ঘুরে দেখা হচ্ছে, রোগীর সঙ্গে থাকা তার একজন স্বজন বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের জন্য মেডিক্যালে যোগাযোগ করলে পাওয়া যায় না। অনেক সময় থাকে না, থাকলেও বলে নাই। আর গরিব মানুষ এই এ্যাম্বুলেন্সে সরকারই এ্যাম্বুলেন্সের পাওয়ার জন্য কার কাছে কারে টাকা দিয়ে আবার বিপদে পড়ি। তাইলে আমরা গরিব মানুষ কই যামু কন? সবসময় হাতে টাকাও থাকে না। বিপদ তো আর মনে কইরা কয়ে আসে না। অনিবন্ধিত বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স পরিচালনা মালিক সমিতি সভাপতি ওসমান জনকণ্ঠকে জানান, আমরা ধর্মঘট ডাকি নাই। পুলিশের ঝামেলার ভয়ে হাসপাতালে ক্যাম্পাসের বাইরে এ্যাম্বুলেন্সগুলো রাখছি। হাসপাতালে প্রশাসন বললে পুনরায় আমরা জরুরী বিভাগের বাইরে রাস্তা রাখতে পারি। তবে শনিবার তাদের বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের চাপায় ৫জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা জানাই। দোষীদের শাস্তি হোক এটা আমরা চাই। তিনি জানান, আমরা ভাড়া বেশি নিয়ে রোগী বহন করি না। ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেউ নিলে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স চারটি। সকাল সাড়ে ৮টায় হাসপাতালে এনে দুপুর আড়াইটায় অফিস ছুটির পর এসব এ্যাম্বু^ুলেন্সে করেই তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়। নির্ধারিত কয়েকজন কর্মকর্তাই নিয়মিত এ সুবিধা পান। এদিকে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না থাকায় কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে জরুরী রোগীদের হাসপাতালে আনতে হয় স্বজনদের। অনেকের পক্ষে এত টাকা খরচ করা সম্ভব হয় না বলে অটোরিকশায় করে হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে আসা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক খাজা আবদুল গফুর জনকণ্ঠকে জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪টি, বার্ন ইউনিটে ২টি মিলে ৬টি সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে। এগুলো রাজধানীতে রোগী আনা নেয়ার কাজের ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে তিন শ’ টাকায় ঢাকা শহরের ভেতরে রোগী পরিবহন করে। এর বাইরে গেলে প্রতি কিলোমিটারে যোগ হয় ১০ টাকা করে। দুই শিফটে চারজন চালক এ্যাম্বুলেন্সগুলো চালান। তবে উপ-পরিচালক খাজা গফুর জানান, কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করেননি। এই অভিযোগ ঠিক নয়। তিনি জানান, তবে রাতে কোন রোগী আশঙ্কাজনক হলে কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা প্রফেসর বাসা থেকে আনা হয় এই এ্যাম্বুলেন্সে করে। কারণ হাসপাতালে পুলের কোন গাড়ি নেই। নিম্নে দুই পুলের গাড়ির থাকা দরকার। হাসপাতালে কোন রোগী অবস্থান সঙ্কটাপন্ন হলে ওই পুলের গাড়িতে করে চিকিৎসকদের আনা নেয়া করা যায়। আর প্রশাসনকি কর্মকর্তারা এই পুলে গাড়ির ব্যবহার করতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের উপ-পরিচালক খাজা আবদুল গফুর জানান, গত তিন বছর ধরে এই চারটি এ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। তার ওপর বার্ন ইউনিটে দুই এ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন পাচঁশত রোগী ভর্তি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী আনা নেয়া করতে হয়। সেখানে এ্যাম্বুলেন্স আরও ২০টি হলে রোগীদের ভাল হয়। এ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করলে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও জরুরি সেবার জন্য ১৮টি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। বেসকারি বিভিন্ন হাসপাতাল নিজেদের রোগী পরিবহনের পাশাপাশি যে কোন স্থানে রোগী পরিবহনের জন্য এ্যাম্বুলেন্স ভাড়াও দিচ্ছে। অথচ ঢাকা মেডিক্যালের জন্য এ্যাম্বুলেন্স বাড়ানোর কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বাড়াতে পরিকল্পনার কথা বললেও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে কোন প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। এমন কথা স্বীকার করে ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ। অনিবন্ধিত এ্যাম্বুলেন্সের হাল ॥ যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ্যাম্বুলেন্স ধোয়ামোছা করতেন তারাই এখন এ্যাম্বুলেন্স চালক। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেসরকারীই এ্যাম্বুলেন্স পরিচালনা মালিক সমিতির এক সদস্য জানান, শনিবার সকালে মেডিক্যাল গেটের সামনে এ্যাম্বুলেন্সের চাপায় ৫ জন নিহত হয়। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জন্য দায়ী শুধু চালকই নন। এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এ্যাম্বুলেন্সের মালিকরাও। একজন লাইসেন্সধারী চালক দিয়ে গাড়ি চালালে তাকে অনেক টাকা বেতন দিতে হয়। তবে লাইসেন্স ছাড়া চালক হলে তাকে বেতন বাবত শতকরা ২০ টাকা করে দিতে হয়। কম বেতনে গাড়ি চালাতে এমন সুযোগ নিয়ে থাকেন এাম্বুলেন্স মালিকরা। মালিকদের উদ্দেশ্য একটাই তাদের কম টাকায় চালক পাওয়া। তিনি বলেন, বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স পরিচালনা মালিক সমিতির নামে প্রায় ৭০টি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যার অধিকাংশ মালিক ঢামেকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। সমিতির সভাপতি ঢামেকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ওসমান গনি ও সাধারণ সম্পাদক দীনা। তাদের নিজেদের নামে এ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরও রয়েছে এ্যাম্বুলেন্স। তিনি বলেন, তাদের এ্যাম্বুলেন্সগুলো আগে যারা ধোয়ামোছা করতেন তারাই এখন চালক। তবে তাদের কোন লাইসেন্স নেই। তাদের জন্য আমরা কেন কষ্ট করব। আমাদের গাড়ির চাকা ঘুরলে দুই পয়সা আসে, তা দিয়ে আমরা সংসার চালাই। তিনি বলেন, আমার একটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। অথচ আমার এ্যাম্বুলেন্স আমি নিজেই চালাই। আমি নিজেই সরকারের লাইসেন্সধারী চালক। এ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য করার অপরাধে দু’জনের কারাদ- ॥ এদিকে একজন রোগী মারা যাবার পর তার লাশ নিতে বাইরে থেকে এম্বুলেন্স এসে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে একটি পরিবারকে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গতকাল এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাৎক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে ছয় মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। তারা হলেন-আবির হোসেন ও তানভীর। র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সোমবার আকস্মিক সেখানে অভিযান চালানোর সময় এদের দ-াদেশ প্রদান করেন। তিনি জানান- সোমবার সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা গৌরপদ সাহা নামে এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার লাশ নিতে স্বজনরা বাইরে থেকে একটি এম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে আসেন। তারা গৌরপদের মরদেহও এম্বুলেন্সে তোলেন। তখন তাদের বাধা প্রদান করে সাজাপ্রাপ্তরা। প্রায় তিন ঘণ্টা আটক রাখার পর র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ টিম এখানে হাজির হয়ে দুপক্ষের শুনানির পর অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করলে তাদের এ সাজা প্রদান করা হয়।
×