ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে পাঁচ মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানি

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

বরিশালে পাঁচ মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মোটা অংকের টাকা উৎকোচ না দেয়ায় জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের ভাতাপ্রাপ্ত পাঁচ মুক্তিযোদ্ধাকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানিসহ গেজেট বাতিল ও মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পেরে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। সরিকল ইউনিয়নের শাহাজিরা গ্রামের ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান খান, মোবারেক হোসেন হাওলাদার, দক্ষিণ সাকোকাঠী গ্রামের মোতালেব শিকদার, তাজেম আলী চৌকিদার ও আব্দুল খালেক মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এমএ হক বীরবিক্রম দীর্ঘদিন থেকে নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য আমাদের কাছে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দাবি করে আসছিল। তার দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এমএ হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন খানকে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বরাবরে আমাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে গত ৭ মার্চ বরিশাল জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেনÑ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ মনিরুল হক। উল্লেখিত পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের ও অভিযোগকারীসহ ছয়জন সাক্ষীকে নিয়ে সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য গত ৯ অক্টোবর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে তদন্তের তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন অভিযোগকারী সোহরাব হোসেন খান তার মদদদাতা এমএ হক ছাড়া অন্য কোন সাক্ষীকে হাজির করতে পারেননি। তারা আরও অভিযোগ করেন, অভিযোগকারীর পক্ষে ভাতাপ্রাপ্ত ৫ মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া আখ্যায়িত করে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য বীরবিক্রম এমএ হক পেশীশক্তি প্রদর্শন করে তদন্ত কমিটির নেতৃবৃন্দদের চাপপ্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে সে (এমএ হক) বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ সরকারী কর্মকর্তাদের চাকরি খোয়ানোরও হুমকি প্রদর্শন করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ মনিরুল হক বলেন, অভিযুক্ত পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
×