ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মা-ইলিশ রক্ষা নিয়ে শঙ্কা

বাউফলে প্রণোদনায় নেই প্রকৃত জেলেদের নাম

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৯ অক্টোবর ২০১৬

বাউফলে প্রণোদনায় নেই প্রকৃত জেলেদের নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৮ অক্টোবর ॥ বাউফলে ব্যাহত হতে পারে মা-ইলিশ রক্ষায় সরকারের গৃহীত সকল কার্যক্রম। ১২ অক্টোবর থেকে ২ নবেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন মা-ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু একটি মহল ইতোমধ্যেই সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ ধরার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড ম্যানেজ করে তেঁতুলিয়া নদীতে শিকার করা হবে মা ইলিশ। অথচ সরকার ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকার না করার জন্য জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এই তালিকায় নেই প্রকৃত জেলেদের নাম। এ কারণে খরার মৌসুমে জেলেরা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালায়। আর এই দাদনের টাকা শোধ করতেই সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তারা নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করে। সরেজমিনে উপজেলার কালাইয়া, নাজিরপুর, চন্দ্রদ্বীপ এবং কেশবপুর এবং ধূলিয়া ইউনিয়নের প্রান্তিক জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই ৪০ কেজি চালের সুফল পাচ্ছে না তাঁরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলেদের এই তালিকায় রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থকদের নাম। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জসীম উদ্দীন জানান, উপজেলার প্রায় ৬ হাজার জেলের মধ্যে ২ হাজার ৯শ’ ৪৯ জন জেলে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এই ৪ মাস ৪০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। কোন কোন জেলে এই চাল পাচ্ছে তার তালিকা চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সুবিধাভোগী জেলেদের তালিকা তাদের কাছে নেই। কোথায় এই তালিকা পাওয়া যাবে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে এই তালিকা থাকতে পারে। পরে এই তালিকার জন্য একাধিক ইউনিয় পরিষদে যোগাযোগ করলেও এই তালিকা পাওয়া যায়নি। বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল, যানবাহনের অপ্রতুলতা রয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ নেই।
×