তিনতলা এক বাড়ি-ছোট্ট বাড়ি,
সাদা আর হালকা আকাশী রঙের মিশেলে অপূর্ব এক শোভা ছড়িয়েছে দেয়ালে।
সামনের খোলা রাস্তাটায় দাঁড়িয়ে উন্মুক্ত আকাশে তাকালে পুরো আকাশটাই দেখা যায়;
আকাশকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় উত্তরও পাওয়া যাবে না জেনেও,
তোমার নীলের গভীরতা কত হে সুনীল আকাশ?
বাড়ির সামনেই বাগান;
বিভিন্ন রকমের বর্ণালী সেই গাছগুলোর মধ্যে লজ্জাবতীর সমাহারেরই আধিক্য।
বাগান লাগোয়া রাস্তাটা নির্জন আর পরিষ্কার,
এ রাস্তাটায় মায়া আছে.. যেমন মায়া জন্মায় হঠাৎ চাহনিতে।
সায়ান এই সীমানার কেউ না, তবু প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ঘুরে বাড়ি যায় সে।
কেন যেন লজ্জাবতী গাছগুলোকে সে প্রতিদিন আলতো করে ছুঁয়ে দিতেই ভালোবাসে;
লজ্জায় ডুবে যাওয়া লজ্জাবতীকে আরও লজ্জাবতী লাগে তার কাছে।
হঠাৎ একদিন এক সুন্দরী এলোকেশী সামনে হাজির হলো।
এই যে মিষ্টার প্রতিদিন আমার লজ্জাবতী গাছগুলোকে এমন করে লজ্জা দেন কেন হুম?
লজ্জাবতীর সৌন্দর্যটাই তো ওখানে,
আর তাছাড়া ওদের এমন করে লজ্জা না দিলে লজ্জাবতীর মালিনীটা যে এত সুন্দর জানতাম কি করে।
ধরা পড়েছেন বলে এখন মালিনীর প্রশংসাও করা হচ্ছে বুঝি?
না না, মালিনী সত্যিই অনেক সুন্দর!
আমি ইরাবতী।
ইরাবতী......
এক নদীর নাম।
আমি সে নদীর জল স্পর্শ করতে চাই
সেতো বহুদূরে..
আমি তো দেখছি আমি সে নদীর প্রবাহে দাঁড়িয়ে
ভুুল দেখছেন..
দেখছেন নয় দেখছো
অই হলো।
না হয়নি। তুমি না বললে লজ্জাবতীগুলোকে আর লজ্জাই দেব না;
ওরা ভালোবাসার নহর থেকে বঞ্চিত হবে। ওদের পৃথিবী সঙ্কুচিত হয়ে আসবে।
ইরাবতীকে ঘিরে স্বপ্ন আসে মেঘের ডানায়, ঢেউয়ের দোলায়
ইরাবতী মনের দ্বীপে এক বসত বানায়।
ইরাবতী এক নদীর নাম, ইরাবতী এক বাস্তবে দাঁড়িয়ে থাকা কল্পনার নাম
ইরাবতী এক রাঙাবতীর নাম।
শীর্ষ সংবাদ: