ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

সলেমান ও ইদ্রিসসহ রাজাকাররা ২শ’ মানুষকে হত্যা করে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৫ অক্টোবর ২০১৬

সলেমান ও ইদ্রিসসহ রাজাকাররা ২শ’ মানুষকে হত্যা করে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শরীয়তপুরের সোলায়মান মোল্লা ওরফে সলেমান মৌলবি ও ইদ্রিস আলী সরদারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৩তম সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি সোলায়মান মোল্লা ও ইদ্রিস আলী সরদারসহ অন্যান্য রাজাকার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পালং থানার চারটি গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দুই শতাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। উল্লেখিত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে মধ্যপাড়ায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে আংশিক জেরা করেন। পরবর্তী জেরার জন্য ১৮ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছে। এ সময় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীকে সাক্ষ্য দানে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর হƒষিকেশ সাহা, আসামি পক্ষে জেরা করেন সৈয়দ মিজানুল রহমান ও এ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। আমি গত ৮ জুলাই ২০১০ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি। ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক তদন্ত সংস্থার রেজিস্ট্রারের ক্রমিক নং ৫০। উক্ত তারিখ থেকে আসামি মোঃ সোলায়মান মোল্লা, পিতা-মৃত চাঁন মোল্লা, মাতা- মৃত শহরজান বিবি, সাং-কাশিপুর মুসলিমপাড়া, ওয়ার্ড নং ৫. থানা- পালং, জেলা-শরীয়তপুর। এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করলে আমি তদন্তভার গ্রহণ করি। মামলা তদন্ত কালে আমি শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন রুদ্রকর নীলমনি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক প্রধান শিক্ষকের নিকট হতে আসামি ইদ্রিস আলী সরদার সম্পর্কে একটি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করি।
×