ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারী সংস্থার জরিপ

রাজধানীর ৭৭ ভাগ স্কুলশিক্ষার্থী পর্নোগ্রাফি দেখে

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২ অক্টোবর ২০১৬

রাজধানীর ৭৭ ভাগ স্কুলশিক্ষার্থী পর্নোগ্রাফি দেখে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর স্কুলগামী শিশুদের প্রায় ৭৭ ভাগ পর্নোগ্রাফি দেখে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশে তৈরি এই পর্নোগ্রাফিগুলোতে যাদের ভিডিও দেখানো হচ্ছে, তাদের বয়স ১৮ বছরের কম। তারা সুস্থ যৌন শিক্ষার বিপরীতে একটি বিকৃত যৌন শিক্ষার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে। বেসরকারী সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। শনিবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি, সংবাদপত্র বিশ্লেষণ ও বিশেষজ্ঞ অভিমত উপস্থাপন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সংস্থাটির শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের কর্মসূচী ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার ৫শ’ স্কুলগামী শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৭৭ ভাগ শিশু নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে সম্পর্কিত ২শ’ শব্দের ওপর সংরক্ষণ দেয়া আছে। কেউ ওই শব্দগুলো লিখে সার্চ দিলে সার্ভারে নোটিফিকেশন যায়। অনুমোদন ছাড়া ওই সব সাইটে ঢোকা যায় না। বাংলাদেশেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গবেষণাটি বলছে, চারটি পদ্ধতিতে অশ্লীল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি পর্নোগ্রাফির চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ঘিরে তৈরি পর্নো ভিডিও মানুষ বেশি দেখছে। এই ভিডিওগুলোতে ১৮ বছরের কম বয়সী স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া সিম নিবন্ধন করা নিষিদ্ধ। তার অর্থ ১৮ বছরের নিচে মুঠোফোন ব্যবহার করতে হলে শিশুকে অভিভাবকের নামে নিবন্ধন করা সিম ব্যবহার করতে হবে। অভিভাবকেরা শিশুদের দামী মুঠোফোন, ট্যাব ও সেগুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছেন, কিন্তু তারা কী কাজে এগুলো ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে খোঁজখবর করছেন না। এদিকে নজর দেয়া জরুরী।
×