স্টাফ রিপোর্টার ॥ মেজবা বাপ্পীর ভাষায়, গান মানেই তো প্রেম। আর ভালবেসে সুরে সুরে গল্প বলাই হল গান। এই তত্ত্বটি ধারণ করেই সুরের তরুণ পথিক মেজবা বাপ্পীর পথচলা। প্রথমবারের মতো ফোক গানে কন্ঠ দিয়েছেন মেজবা বাপ্পী। চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ তারকা বাপ্পী এবার লালন সাঁইজীর ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’ এবং ‘প্রেম জানোনা প্রেমের হাটের বুলবুলা’ এই দুটি গান নিয়ে আসছেন বর্ণ চক্রবর্তীর নতুন প্রজেক্ট ‘লালন ফিউশন -১’ এ্যালবামে। ১১টি গান দিয়ে ‘লালন ফিউশন-১’ এ্যালবামটি সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশ করেছে অনলাইন চ্যানেল হিউজ টিভি। এ প্রসঙ্গে বাপ্পী বলেন, যখন সেরা কণ্ঠে ছিলাম, তখন প্রতিযোগিতার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধারার গান করতে হয়েছে। লালন সাঁইয়ের গানের প্রতি সবসময়ই অন্যরকম আগ্রহ কাজ করত। যদিও সাঁইজীর গানের অর্থ ধারণ করার ক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। গুণ গুণ করে গাওয়া ছাড়া সাহস হতো না। বর্ণ দা এই প্রজেক্ট সম্পর্কে বলার পরই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। একেবারে আলাদা রকমের সঙ্গীত আয়োজন করেছেন উনি। অনেকে সময় দেখা যায় ফিউশন করতে গিয়ে আমরা গানের আসল সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলি। কিন্তু বর্ণ দা এত যতœ নিয়ে গানগুলোর সঙ্গীত আয়োজন করেছেন, যেন গানগুলোকে সঠিক ভাবে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই এ্যালবামে আমার দুটি গান ছাড়াও প্রত্যেকটি গানের অসাধারণ সঙ্গীতায়োজন করেছেন বর্ণ চক্রবর্তী। সবাই চমৎকার করে গেয়েছেন প্রত্যেকটি গান। এ্যালবামটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই যার যার জায়গা থেকে পরিশ্রম করেছেন। এখন শ্রোতাদের ভাল লাগাতেই আমাদের সার্থকতা। হিউজ স্টুডিওর ব্যানারে লালন সাঁইয়ের ১১টি গান নিয়ে প্রকাশ হয় ‘লালন ফিউশন-১’। সবক’টি গানই রেকর্ড হয়েছে হিউজ স্টুডিওতে। গানের সার্বিক সঙ্গীতায়োজন করেছেন বর্ণ চক্রবর্তী। লালনের সব জনপ্রিয় গানগুলো ভিন্নভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেছেন বর্ণ চক্রবর্তী। বর্ণ চক্রবর্তী বলেন, লালন ফিউশন এ্যালবামে বাপ্পীকে নিয়ে অসাধারণ দুটি গান করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করছি, লালনের চিরচেনা সেই গানগুলো একটু ভিন্ন আমেজে শ্রোতাদের কানে পৌঁছবে। এতে তৃপ্ত হবে শ্রোতারাও। এদিকে সম্প্রতি লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত মেজবা বাপ্পীর ‘রাগ ভাঙ্গানোর গান’ শিরোনামের গানটির ভিডিও ফেসবুক এবং ইউটিউবে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: