ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি জমি সুরক্ষায় আইন করার তাগিদ

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কৃষি জমি সুরক্ষায় আইন করার তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষিতে উন্নয়ন সহযোগীদের নেয়া নানা প্রকল্পের কারণে কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে। এসব প্রকল্প গ্রহণের ফলে একদিকে সম্পর্কের যেমন উন্নয়ন ঘটেছে তেমনি বিনিময় হচ্ছে নিত্যনতুন ধারণা। প্রযুক্তি ব্যবহার ও কারগরি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পাওয়া যাচ্ছে দিকনির্দেশনা। বৈশ্বিকভাবে দর্শন বিনিময়ের ফলে উঠে আসছে উন্নয়নের সহজ রাস্তা। আর দেশী বিশেষজ্ঞরা বললেন, কোনক্রমেই কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। কৃষি জমি যাতে আর নষ্ট না হয় সেজন্য একটি আইন করতে হবে। শুধু তাই নয়, মাটির উপরিভাগ ব্যবহার করে যে ইট তৈরি করা হয় তা বন্ধেরও জোর দাবি উঠেছে। এক্ষেত্রে বিকল্প ইট তৈরির প্রসার ঘটানোর কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে পঞ্চম ‘জাতীয় কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক কৃষি কনফারেন্স ২০১৬’-এর একটি সেমিনারে বক্তাদের আলোচনায় এমন কথা উঠে এসেছে। দেশের কৃষি উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সম্ভাবনাসহ নানা দিক তুলে ধরতে দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সের আয়োজন করে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ। এর আগে সকালে ওই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। পরে দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার ও আলোচনা। আন্তর্জাতিক এই কনফারেন্স শেষ হবে আজ। কেআইবির সেমিনার হলে দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় কৃষিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। সেমিনারে কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন। বক্তব্য রাখেন রিয়ার এডমিরাল খুরশিদ আলম ও ডাচ প্রতিনিধি আরামান। এছাড়াও দেশী-বিদেশী প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, কৃষি জমি যাতে আর নষ্ট না হয় সেজন্য একটি আইন করতে হবে। সংসদে প্রস্তাব ওঠাতে হবে। আমরা জমি আর নষ্ট করব না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এমন জায়গায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে, যার মধ্যে কোন কৃষি জমি নেই। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বিকল্প ইট তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। মাটির উপরিভাগ ব্যবহার করে যাতে ইট তৈরি করা না হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা কৃষিতে আজ যে অর্জন তা হুমকির মুখে পড়বে। উন্নয়ন সহযোগীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের কৃষি খাত এগিয়ে যাওয়ার পেছনে উন্নয়ন সহযোগীদের ভূমিকা রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা যে কাজ করছে সে কারণে আজ খাদ্য উদ্বৃত্ত। বঙ্গবন্ধুর যে লালিত স্বপ্ন খাদ্য উদ্বৃত্ত তা আজ পূরণ হয়েছে। এখন রফতানি করছি, এটা বঙ্গবন্ধুর কন্যার জন্য সম্ভব হয়েছে। এটা উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা ও প্রযুক্তির প্রভাবে সম্ভব হয়েছে। এফএও প্রতিনিধি মাইক রবসন বলেন, কৃষিতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা প্রশংসনীয়।
×