ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

নিষিদ্ধ হলো শিক্ষার্থীদের মায়েদের ড্রেসকোড

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নিষিদ্ধ হলো শিক্ষার্থীদের মায়েদের ড্রেসকোড

অনলাইন ডেস্ক ॥ সমালোচনার মুখে শ্রীলঙ্কার স্কুলগুলোয় নিষিদ্ধ হলো শিক্ষার্থীদের মায়েদের ড্রেসকোড। এখন থেকে নিজের ইচ্ছামতো পোশাক পরে সন্তানের স্কুলে যেতে পারবেন মায়েরা। এজন্য স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষক বরাবর সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। সরকার বলছে, কোন স্কুলই অভিভাবকদের জন্যে এ ধরণের নির্দেশনা জারি করতে পারবে না। স্কুলে শিক্ষার্থীদের মায়েরা কী ধরণের পোশাক পরে আসতে পারবেন তার জন্যে একটি ড্রেস-কোড বেঁধে দিয়েছিলো শ্রীলঙ্কার কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এজন্য ড্রেসকোডের ছবিসহ নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি ওই মায়েরা মোটেই ভালভাবে নেয়নি। বিষয়টা অপমানজনক বলে মনে করেন তারা। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সমালোচনার মুখে সরকার ওই নিয়মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেলো। প্রথমে একটি নামকরা স্কুলে এই ড্রেসকোড চালু করা হয়। স্কুলের সামনে একটি পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে ছবিসহ বুঝিয়ে দেওয়া হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মায়েরা কী ধরণের পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবেন। খোলামেলা পোশাক পরে এলে স্কুলের ছেলেদের অনুভূতিতে পরিবর্তন আসতে পারে সেই আশঙ্কায় এই ড্রেসকোড নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি স্কুলে এই নিয়ম চালু করা হয়। এমনকি ড্রেসকোড না মানায় অনেক মাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই নিয়ম চালু করার পর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রচুর অভিযোগ আসে ও সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী আকিলা কারিয়াওয়াসাম বিবিসিকে বলেছেন, এরপর বহু অভিভাবক বিশেষ করে মায়েরা এই বিধিনিষেধের ব্যাপারে তার কাছে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, "অভিভাবকরা কী পরে স্কুলে আসবেন সেই সিদ্ধান্ত স্কুল নিতে পারে না।" "এই ড্রেসকোডের জন্যে মায়েরাই সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। কারণ বেশিরভাগ কর্মজীবী নারী সবসময় শাড়ি পরেন না। তাদের কারো কারো ইউনিফর্ম আছে যা পরে তাদেরকে কাজে যেতে হয়।" শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তিনি সব স্কুলের প্রধান শিক্ষককে একটি সার্কুলার পাঠিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে পিতা-মাতারা কী পরে স্কুলে আসবেন সে বিষয়ে স্কুলের বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, সব মা-ই জানেন কী কাপড় পরে স্কুলে যেতে হয় বা হয় না। রাজধানী কলম্বোর সেন্ট জোসেফ কলেজে গত সপ্তাহে ড্রেসকোডের পোস্টারটি লাগানো হয়েছিলো। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিহিত ১৬ জন নারীর ছবি তুলে ধরা হয়। এর কোনটার পাশে টিক চিহ্ন দেওয়া আবার কোনটার পাশে ক্রস বা কাটা চিহ্ন। আরও একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি স্কুল সেন্ট পিটার্স কলেজেও গেটের সামনে প্রায় একই ধরণের ড্রেসকোড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
×