ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তোরের অবসর

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তোরের অবসর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রেকর্ড টানা চারবারের আফ্রিকান বর্ষসেরা ফুটবলার আইভরিকোস্টের ইয়াইয়া তোরে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে এ ঘোষণা দেন ৩৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। তোরের সাম্প্রতিক সময়টা ভাল যাচ্ছে না। কি ক্লাব কি জাতীয় দল সবখানেই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বিদায় বেলায় সেটা স্বীকারও করেছেন। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা তোরে অবসর প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছি। আমি নিশ্চিত এটাই আমার অবসরের সঠিক সময়। এখন আমার বয়স ৩৩ বছর, আমি বুঝতে পারছিলাম আমার কি করা উচিত। তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না। তবে আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। আইভরিকোস্ট জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও তোরে ম্যানসিটির হয়ে চালিয়ে যাবেন ক্লাব ফুটবল। অবসরের আগে তোরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১১৩ ম্যাচ। ২০০৪ সালে আইভরিকোস্টের হয়ে অভিষেক হওয়ার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি ছিলেন জাতীয় দলের অন্যতম সেরা তারকা। আইভরিকোস্টের সোনালি প্রজন্মের অন্যতম সেরা তারকা তোরে। দিদিয়ের দ্রগবা, তার ভাই কোলে তোরে, গারভিনহোরা আফ্রিকান দেশটিকে ভাসিয়েছেন দারুণ সাফল্যে। এরা সবাই দেশের হয়ে যেমন সফল হয়েছেন, তেমনি ক্লাব ফুটবলেও নিজ নিজ দলে অপরিহায্য। তোরে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সিলোনার হয়ে ২০০৯ সালে জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ। ২০১৫ সালে আইভরিকোস্টের হয়ে আফ্রিকান নেশন্স কাপ জয় ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন। দ্রগবার পর আইভরিকোস্টের অধিনায়ক হিসেবেও সফল ছিলেন তোরে। ২০১৫ সালে রেকর্ড টানা চতুর্থবারের মতো আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন তোরে। কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন (সিএএফ) সেবার ২০১৪ সালের সেরা হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের নাম ঘোষণা করেছিল। ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালেও তোরে আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন। প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা চারবার আফ্রিকান সেরা হওয়ার রেকর্ড গড়েন তোরে। এর আগে ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতোও চারবার সেরা হয়েছেন তবে টানা হতে পারেননি। এক সময় আফ্রিকান বর্ষসেরায় আধিপত্য ছিল দিদিয়ের দ্রগবার। কিন্তু গত কয়েক বছরে তার সাম্রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন ইয়াইয়া তোরে। সেবার দ্বিতীয় হয়েছিলেন মালির মিডফিল্ডার সেইদু কেইতা। তৃতীয় হয়েছিলেন ফ্রান্সের অলিম্পিকে ডি মার্সেইলির ঘানার মিডফিল্ডার আন্দ্রে আইয়ু। এর আগে ২০১০ সালে ক্যামেরুনের স্যামুয়েল ইতো ও ২০০৯ সালে গৌরবময় এ পুরস্কার বাজিমাত করেছিলেন আইভরিকোস্টের দ্রগবা। ১৯৯২ সাল থেকে আফ্রিকান বর্ষসেরার পুরস্কার প্রচলিত আছে। ১৯৮৩ সালের ১৩ মে জন্ম নেয়া তোরে সবাইকে ছাড়িয়ে যান। সেই আফ্রিকান কিংবদন্তি ফুটবলার এবার বুটজোড়া তুলে রাখলেন।
×