ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নামলেন মিশেল ওবামা

হিলারির দেহরক্ষীদের নিরস্ত্র করে দেখুন কী ঘটে ॥ ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

হিলারির দেহরক্ষীদের নিরস্ত্র করে দেখুন কী ঘটে ॥ ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের দেহরক্ষীদের নিরস্ত্র করার আহ্বান জানিয়েছেন। এমন পদক্ষেপের ফল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেখুন তার ভাগ্যে কী ঘটে।’ এদিকে, মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন। ভার্জিনিয়ায় হিলারির পক্ষে শুক্রবারের সমাবেশ ছিল মিশেল ওবামার প্রথম একক প্রচারাভিযান। খবর সিএনএন, এবিসি, এপি ও এনডিটিভির। ট্রাম্প শুক্রবার মিয়ামিতে এক সমাবেশে বক্তৃতার সময় সমর্থকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, তার দেহরক্ষীদের সকল অস্ত্র ফেলে দেয়া উচিত। তাদের নিরস্ত্র করা উচিত। আমি মনে করি, তাদের অবিলম্বে নিরস্ত্র করা উচিত। হ্যাঁ, তোমরা কী মনে কর?’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তাদের বন্দুক কেড়ে নাও, কারণ তিনি (হিলারি) বন্দুক চান না। তাদের বন্দুক কেড়ে নেয়া হলে দেখুন তার ভাগ্যে কী ঘটে। হ্যাঁ, তাদের বন্দুক কেড়ে নেয়া হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।’ দুই প্রার্থীকেই কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা দিয়েছে। অস্ত্র রাখার অধিকার নিয়ে হিলারির প্রতি ট্রাম্প এর আগেও সমালোচনা করেছেন এবং নিরাপত্তা দেয়া গোয়েন্দা সংস্থাকে নিরস্ত্র করার কথা বলেছেন। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, ‘নিরস্ত্র করলে দেখ তার ভাগ্যে কী হয়। অবিলম্বে তাকে সশস্ত্র সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা উচিত।’ হিলারির প্রচার বিভাগের ম্যানেজার রবি মুক বলেন, ট্রাম্পের এ মন্তব্য একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার মুখে মানায় না। তিনি বলেন, ট্রাম্পের শুক্রবারের মন্তব্য জনগণকে সহিংসতার দিকে উস্কে দিচ্ছে। মুখপাত্র ক্যাথেরিন মিলহোয়ান জানান, ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি ও ওয়াশিংটনভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স টুইটবার্তায় বলেন, ‘এ হুমকি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত করে দেখা উচিত।’ একই দিনে জর্জ মেজন ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের উদ্দেশে বক্তব্যে মিশেল সতর্ক করে বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়লে চলবে না। তিনি তাদের হিলারির পক্ষে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। ফার্স্ট লেডি বলেন, ‘আমাদের জীবদ্দশায় প্রেসিডেন্ট পদের জন্য কাউকে খুব বেশি অভিজ্ঞ দেখিনি। বারাক ওবামাও নন, বিল ক্লিনটনও নন। যেমন বিল বলবেন- কেউ নন। হ্যাঁ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থী একজনই- তিনি হচ্ছেন একজন নারী। কাজেই এ সুযোগ আমরা নষ্ট করতে পারি না।’ এ সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে ট্রাম্পের অভিমত ছিল, ওবামা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোথাও জন্মগ্রহণ করেছেন। ট্রাম্প এবার মিথ্যা অভিযোগ থেকে সরে এলেও দুঃখ প্রকাশ করেননি। জবাবে মিশেল বলেন, যারা আমার স্বামীর জন্ম সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, বারাক তার আট বছরের দায়িত্ব পালনকালে তাদের প্রশ্নের ভালই জবাব দিয়েছেন।
×