ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে বন্ধ হয়নি মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া

পশুর হাট সরগরম

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পশুর হাট সরগরম

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঈদের বাকি আর মাত্র দুদিন। নগরীর পশুর বাজারগুলো ছাড়াও অস্থায়ী বাজারগুলোতেও কেনাবেচা সরগরম। প্রতিনিয়ত ট্রাকে ট্রাকে গরু আসছে, ক্রেতারাও নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের চাহিদা মতো। তবে বড় সাইজের গরুগুলোকে পিকআপে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দূর-দূরান্তে। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ঈদের দিন সকালেও পশু বিক্রি চলবে। এদিকে, পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশন যেমন পদক্ষেপ নিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার, তেমনি কোরবানিদাতারাও প্রস্তুত। এদিকে, চট্টগ্রামে সাগরিকা গরু বাজারে প্রতিনিয়ত খাওয়ানো হচ্ছে ক্ষতিকর ওষুধ। ঈদের মাত্র দুদিন বাকি থাকতেই এ ধরনের ওষুধ জোর করে গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে কয়েকঘণ্টার মধ্যে ফুলে-ফেঁপে মোটা দেখানোর জন্য। এর মূল কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের উদ্দেশে ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা। শনিবার সাগরিকা গরু বাজারে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা বোতল ভর্তি করে গরুকে মিশ্রিত ওষুধ খাওয়াচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গবাদি পশুগুলো ভারতীয় কিংবা করিডর দিয়ে প্রবেশ করা পশুর মতো নয়। বিদেশী তথা মিয়ানমার ও ভারত থেকে আসা গরুগুলো যেমন লম্বা তেমন চওড়া এবং সাইজে অনেক বড়। ফলে এসব গরু বিক্রয়ে প্রচুর টাকা হাঁকিয়ে বিক্রি সম্ভব হয়। কিন্তু দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে আসা গরুগুলো ততটা মোটা তাজা না হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে পশুকে ওষুধ প্রয়োগের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এরই জের ধরে পশু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থান থেকে নাপা, জাইমোভেট ও স্যালাইন মিশিয়ে বোতলজাত করছে। পরক্ষণে মিশ্রিত এ পানীয় গরুকে জোরপূর্বক খাওয়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন খাবারের সঙ্গে নয়, পশুকে সরাসরি খাওয়ানোর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে পশুটি মোটাতাজা দেখানোর চক্রান্ত। এ ওষুধ প্রয়োগের ফলে গরুর পেট যেমন ফুলে হাড় দেখা যায় না, তেমনি পেশীতে ওষুধের প্রভাবে রগগুলো মোটা হয়ে যায়। ফলে অনায়াসে বিক্রয়যোগ্য গরুটি মোটা দেখায়। এদিকে, শনিবার বিবিরহাট গরুর বাজারের নির্ধারিত দিন ছিল। সকাল থেকেই হাট টুইটুম্বর হয়ে যায় পশুতে। ফলে দুপুর গড়িয়ে বিকেল না হতেই সড়কের ওপর চলে আসে পশুর বাজার।
×