ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবস্থা নেয়নি কেউ

মাদারীপুরে বিসিকের জায়গায় ২২ অবৈধ করাতকল

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মাদারীপুরে বিসিকের জায়গায় ২২ অবৈধ করাতকল

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১ সেপ্টেম্বর ॥ মাদারীপুর বিসিক শিল্প নগরীর বেশিরভাগ জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ২২টি করাত কল। বৈধ ব্যবসায়ীরা বার বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রায় ৪০ বছর আগে মাদারীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে আড়িয়াল খাঁ নদের চরে ১৬ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বিসিক শিল্প নগরী। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প আইনে বিসিক শিল্প নগরীর মধ্যে কিংবা এর আশপাশে করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদারীপুর বিসিক শিল্প নগরীতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অন্তত ২২টি করাতকল। এখানকার ময়দা মিল, তেল মিল, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ করাতকলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিসিকের একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী জানান, প্রশাসন ও বিসিক কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই এখানে একাধিক করাতকল গড়ে উঠেছে। ফলে, তাদের ব্যবসা এখন পড়েছে হুমকির মুখে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। মাদারীপুর বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট দিলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। হিল্লা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বেড়ায় স্ত্রী একঘরে সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা, ৩১ আগস্ট ॥ হিল্লা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বেড়ায় চার সন্তানের জননীকে স্বামী ও ফতোয়াবাজরা একঘরে করে রেখেছে। বেড়া উপজেলার টাংবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ আগে টাংবাড়ি গ্রামের নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী মায়া বেগমের মধ্যে পারিবারিক কারণে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় নূর মোহাম্মদ রাগান্বিত হয়ে স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তিন তালাক দেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামবাসী স্থানীয় মসজিদের ইমামকে জানান। তখন ইমামসহ স্থানীয় কয়েক মোড়ল ফতোয়া দেয় স্ত্রী মায়া বেগমকে হিল্লা বিয়ে না দিলে তাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে পারবেন না নূর মোহাম্মদ। এরপর থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে মায়া বেগমকে একঘরে করে রেখেছেন তার স্বামী। এ ব্যাপারে ফতোয়াবাজ স্থানীয় মসজিদের ইমাম হারুন অর রশিদের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, হিল্লা বিয়ে না দেয়া হলে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে পারবে না। মায়া বেগম জানান, আমি চার সন্তানের জননী। ইতোমধ্যে এক মেয়েকে বিয়েও দিয়েছি। সন্তান-সন্ততির সামনে এভাবে আমাকে একঘরে করে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি প্রতিকার চেয়ে সরকারের প্রতি দাবি জানান। নূর মোহাম্মদের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ইমাম এবং গ্রামের মাতব্বরদের সিদ্ধান্তের বাইরে আমি যেতে পারব না। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিল্লা বিয়ের পর নিয়ম অনুযায়ী আমার স্ত্রীকে গ্রহণ করতে আমার আপত্তি নেই। রাবিতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ মিলি জেসমিন ও আবাসিক শিক্ষিকা পাক নেহাদ বানুর পদত্যাগ দাবিতে আবারও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে ওই হলের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
×