ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোট কৃষিঋণের এক শতাংশ যন্ত্রাংশে

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৩১ আগস্ট ২০১৬

মোট কৃষিঋণের এক শতাংশ যন্ত্রাংশে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষিতে শ্রমিক সঙ্কটের পাশাপাশি হেক্টরপ্রতি ফলন বাড়ানো ও ফসল সংগ্রহ পরবর্তী ক্ষতি কমিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে কৃষি যন্ত্রাংশ। তবে এসব যন্ত্রাংশ ক্রয়ে বড় ধরনের অর্থের প্রয়োজন বিধায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে মোট কৃষি ঋণের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ বিতরণ করা হচ্ছে। আর এক বছরের ব্যবধানে ঋণ প্রদান কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট ১৭ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে কৃষি যন্ত্রাংশে মাত্র ১৪৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। যদিও এ ঋণের পরিমাণ গত অর্থবছরে ছিল ১৫৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের একটি দেশে পরিণত করতে প্রতিবছর ৭ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি দরকার। সেখানে কৃষিক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছাড়া এটি অর্জন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন- ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, বারি সিডার (বীজ বপন যন্ত্র), বারি উইডার (আগাছা নিড়ানি যন্ত্র), অটোমেটিক সিডলিং নার্সারি মেশিন উপখাতে ব্যবহারকারী পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ঋণের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফে মোট বিনিয়োগের দুই-শতাংশ কৃষিতে করার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষি ঋণ বিতরণ কার্যক্রমকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছে। যেসব ব্যাংকের গ্রামাঞ্চলে শাখা নেই, তারা এনজিওর মাধ্যমে এ ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। এজন্য প্রতিবছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি ঋণ বিতরণ করছে। প্রথম নির্বাহী চেয়ারম্যান পেল বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নবগঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) প্রথম নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম। বেসরকারীকরণ কমিশন ও বিনিয়োগ বোর্ডকে একীভূত করে এই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে সরকার। এ বিষয়ে গত রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। কাজী আমিন এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এতদিন মন্ত্রীর মর্যাদায় বিনিয়োগ বোর্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ড. এসএ সামাদ। আর বেসরকারীকরণ কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, যিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করছিলেন। বেসরকারীকরণ কমিশনের সাবেক প্রধানদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফরুল্লাহ ও মির্জা জলিলও মন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করেছেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন কার্যকর হচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আর কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম আগামী তিন বছরের জন্য এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
×