ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রীকে রক্ষা করতে প্রাণ দিলেন বরিশালের সেন্টু

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২১ আগস্ট ২০১৬

নেত্রীকে রক্ষা করতে প্রাণ দিলেন বরিশালের সেন্টু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রিয় নেত্রীর জীবন বাঁচাতে সেদিন নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার রামারপোল গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদ সেন্টু। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে দেশীয় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ সেন্টুও শহীদ হন। শহীদ সেন্টু স্মৃতি সংঘের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সেন্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাজিব হোসেন ভূঁইয়া রাজু সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, সমাবেশ চলাকালীন আমিসহ সেন্টু ভাই মঞ্চের সামনে বসেছিলাম। হঠাৎ করে যখন গ্রেনেড হামলা শুরু হয় তখন সেন্টু ভাই প্রিয় নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) রক্ষা করতে এক লাফে মঞ্চে উঠে অন্যদের সঙ্গে নেত্রীকে জড়িয়ে রাখেন। একপর্যায়ে আমি দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে সেন্টু ভাইয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করি- বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মাদারীপুরের চার কর্মী নিহত সুবল বিশ্বাস, মাদারীপুর থেকে জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় অন্যদের সঙ্গে মাদারীপুরের ৪ জন নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন আরও কয়েকজন। তারা এখন পঙ্গুত্ব নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। দীর্ঘ ১২ বছর পর সে দিনের সেই ভয়াবহ স্মৃতি আজও আহতদের তাড়িয়ে বেড়ায়। বর্বরোচিত এ গ্রেনেড হামলায় নিহত শ্রমিক নেতা নাসিরউদ্দিন ছিলেন আওয়ামী লীগের অন্ধ ভক্ত। তাই আওয়ামী লীগের মিছিল, মিটিং বা সমাবেশ হলে তাকে কেউ বেঁধে রাখতে পারত না। মিছিল-মিটিংয়ের আগে থাকত, সেøাগান দিত। তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের রামারপোল গ্রামে। নাসিরের বড় ছেলে মাহাবুব হোসেন জানান, বাবার উপার্জনেই চলত সংসার। বাবার মৃত্যুর পর টাকার অভাবে আমাদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কোন কোন দিন আধপেটা আবার কোনদিন খাবারই জোটেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন। এখন সেই টাকার লভ্যাংশ দিয়ে আমার মা, আমি আর আমার ভাই নাজমুলকে নিয়ে কোনরকম বেঁচে আছি। বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত হন রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চানপট্টি গ্রামের যুবলীগ নেতা লিটন মুন্সি। লিটন মুন্সির মেয়ে মিথিলার বয়স এখন ১২। পিতার মৃত্যুর ৩ বছর পর মার বিয়ে হয়েছে অন্যত্র। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার অনুদান, লিটনের মা ও মেয়ের মধ্যে ৫ লাখ করে বিতরণ করে দেয়া হয়। বাবার পক্ষ থেকে এটিই তার শেষ পাওনা। এদিকে লিটনের ছোটবোন ইসমত আরা জানান, বাবা-মা আর আমরা দুই ভাই-বোন ছিলাম এ সংসারের সদস্য। বাবা-মা’র বয়স হয়ে গেছে। কোন কাজ করার ক্ষমতা নেই। যেটুকু জমি-জিরাত আছে তার উৎপাদিত ফসলেই আমাদের চালিয়ে নিতে হয়। এছাড়া আর কোন উপায়ও নেই আমাদের। ২০১৩ সালে যখন চেক গ্রহণ করেন আমার মা, তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আপনার সন্তান গেছে দুঃখ করবেন না। আমরা আছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মা কয়েকবার ঢাকায় গেছেন, কিন্তু তিনি দেখা করতে পারেননি। তাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। গ্রেনেড হামালায় নিহত অপর যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহম্মেদ ওরফে কালা সেন্টু। তার বাড়ি কালকিনি উপজেলার ক্রোকিরচর। সে বরিশালের মুলাদি থানার নানার বাড়িতে বড় হয়েছে। এ কারণেই তার লাশ মুলাদিতেই দাফন করা হয়। কথা হয় সেন্টুর স্ত্রী আইরিন সুলতানার সঙ্গে। তিনি এখন ঢাকার মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকরি করেন। এক মেয়ে আফসানা আহমেদ হৃদিকে (১২) নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তিনি বলেন, এমন দুঃখজনক স্মৃতি কি ভোলা যায়, না মুছে যায়। মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছিলাম। সে সম্বল আর চাকরি থেকে যা পাই, তা দিয়েই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভাবছি। গ্রেনেড হামলায় নিহত সুফিয়া বেগমের বাড়ি রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের মহিষমারি গ্রামে। ওই দিন মহিলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রথম সারিতেই ছিলেন সুফিয়া বেগম। চঞ্চলা ও উদ্যমী এই সুফিয়া সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। নিহত হওয়ার পর তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঢাকায় থাকার কারণে সুফিয়ার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়নি। কালকিনি পৌরসভার বিভাগদি গ্রামের হালান হাওলাদারের একটি পা গ্রেনেড হামলায় নষ্ট হয়ে গেছে। আজীবন পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাকে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছিলেন হালান। শরীরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রচুর স্পিøন্টার। জ্বালা-যন্ত্রণায় অসহ্য লাগে মাঝে মধ্যে। সে কারণে তেমন আয়ও করতে পারে না। উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। কালকিনি পৌর এলাকার চরঝাউতলা গ্রামের সাইদুল ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে অন্ধ হয়ে জীবনযাপন করছেন। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেয়ে তিনি ডিশ ব্যবসা করতে নামেন, কিন্তু এলাকার প্রভাবশালীদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে সে ব্যবসাও লাটে ওঠে। এ নিয়ে ইউএনও থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দ্বারস্থ হলেও সাইদুলের কথা কেউ কানে নেয়নি। ২০১৩ সালে জীবনকে পরিবর্তন করবার জন্য বাড়ির জমি বিক্রি করে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ওমান গিয়েছিলেন। পরিশ্রমের কাজ করতে না পারায় ৮ মাস পর তাকে ফিরে আসতে হয় বাংলাদেশে। তিনি জানান, ৮ মাসে তিনি ৫০ হাজার টাকাও উপার্জন করতে পারেননি। চোখ হারিয়ে এখন তিনি প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী হয়েও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য সাইদুল এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কৃষ্ণনগর গ্রামের কবির হোসেনের ডানহাত স্পিøন্টারের আঘাতে বাঁকা হয়ে গেছে। এখন সে উপজেলার পাশে কাঁচা তরকারির ব্যবসা করে। বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। উপার্জন করে শুধু কবির। অনেকেই অনেক টাকা পেলেও কবির পেয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। শরীরে এখনও স্পিøন্টার রয়ে গেছে। যার যন্ত্রণায় ঘুম আসে না। নিহত রংপুরের মেয়ে রেজিয়া সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মহিলা আওয়ামী লীগ কর্মী রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার গঙ্গানারায়ণ গ্রামের মেয়ে রেজিয়ার পরিবারের খবর এখন আর কেউ রাখে না। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটা করে মৃত্যু দিবস পালন করলেও তারপর থেকে কেউই আর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে আসে না। স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ থেকে দেয়া হয় না কোন সাহায্য। স্থানীয় আওয়ামী লীগও কোন সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রেজিয়া খাতুন। দীর্ঘদিনেও মেয়ে হত্যার বিচার দেখতে না পেয়ে বড় আফসোস নিয়ে গত বছর না ফেরার দেশে চলে গেছেন রেজিয়ার পিতা আফাজ উদ্দিন। রেজিয়ার ছেলে নুরনবী ও হারুন জানায়, ২১ আগস্ট এলেই মাকে হারানোর কষ্ট নতুন করে মাথা চাড়া দেয়। নানার অনেক আশা ছিল শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে, আমাদের মায়ের হত্যার বিচার হবে। কিন্তু মায়ের বিচার না দেখেই নানা মারা গেলেন। আমরা হত্যার বিচার চাই। তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায়, গত ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ৮ লাখ টাকা এবং ঘটনার পরই ১ লাখ টাকা মোট ৯ লাখ দিয়েছেন। সে টাকা দিয়ে জমি ক্রয় ও বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করে চলছে তাদের দিন। দেহে ১৮শ’ স্পিøন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন মাহবুবা নিজস্ব সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত সাবেক ঢাকা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবা পারভীন শরীরে ১৮শ’ স্পিøন্টারের ক্ষত নিয়ে এক যুগ ধরে বেঁচে আছেন। তার অভিযোগÑ কোনরকমে বেঁচে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তার খোঁজখবর নেয় না। সেই জনসভায় মাহবুবা পারভীন মঞ্চের খুব কাছে বসে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনছিলেন। হঠাৎ গ্রেনেডের হামলায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তিন দিন পর জ্ঞান ফিরলে তিনি জানতে পারেন আইভি রহমানসহ অনেকে মারা গেছেন। সেদিন ‘মৃত ভেবে’ তাকে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অজিত কুমার মজুমদার ‘বেঁচে আছে’ বলে জানালে ডাক্তাররা তাকে দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ তিন মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা শেষে সুস্থ না হওয়ায় ভারতে গিয়ে কিছুদিন চিকিৎসা নেন। কয়েক মাস চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হন তিনি। প্রায় রাতেই স্পিøন্টারের যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠেন তিনি। বেশি যন্ত্রণা করে মাথায়। কেননা এখনও মাথার পেছনে ২টি স্পিøন্টার রয়ে গেছে। সামনের কয়েকটি দাঁতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যের সাহায্য ছাড়া এখনও ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। তিনি বলেন, পঙ্গু হয়ে বাসায় পড়ে থাকলেও দলের নেতাকর্মীরা তার কোন খোঁজখবর নেয় না। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তার ভরসা। তিনি সকলের কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। চাঁদপুরে আতিককে এখনও ভুলতে পারেনি স্বজনরা নিজস্ব সংবাদদাতা চাঁদপুর থেকে জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত ও পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তরপাঁচানী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী শ্রমিক আতিক সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হাইমচর উপজেলার উত্তর চরকৃষ্ণপুর গ্রামের আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারী নিহত হন। দীর্ঘ ১২ বছর পরও নিহত ২ পরিবার হামলাকারীদের বিচার না হওয়ায় এখনও শোকাহত। তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন সরকারের কাছে। আতিক সরকার ঢাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। রেখে যান স্ত্রী ও ৪ সন্তান। তার স্ত্রী লাইলী বেগম জানান, তার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর দলের পক্ষ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয় এবং এরপর দীর্ঘ ৯ বছর অতিকষ্টে সংসার পরিচালনা করেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিলে ১০ হাজার টাকা লভ্যাংশ দিয়ে চলছে তাদের সংসার। এখনও সুস্থ হতে পারেননি নাজিম নিজস্ব সংবাদদাতা ভৈরব থেকে জানান, ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় বেঁচে যাওয়া ভৈরবের যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান নাজিম বোমার স্পিøন্টার শরীরে বহন করে যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন। ঘাতকদের গ্রেনেড নাজিমের একটি পা ও একটি হাত পঙ্গু করেছে। শেখ হাসিনা সে দিনের হামলায় আহতদের উন্নত ও সুচিকিৎসার জন্য ভারতের পিয়ারলেস হাসপাতালে পাঠান। আহত নাজিম ভারতে চিকিৎসা নেন। কিন্তু পুরোপুরি ভাল হননি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আইভি রহমান ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে ঢাকা আইভি রহমানের বাড়িতে যান। এ সময় আইভি রহমান নাজিমকে আওয়ামী লীগের সভায় আসার জন্য বলেন। নাজিম সভাস্থলে উপস্থিত হয়। আইভি রহমান পানি খেতে চাইলে পাশের দোকান থেকে মিনারেল পানি পান করানো হয়। পানি পান করার ১০-১৫ মিনিট পর শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠে র‌্যালি বের হওয়ার ঘোষণা দেন। আর সে মুহূর্তে শুরু হয় তা-ব। বোমার অসংখ্য স্পিøন্টার শরীরে বহন করে বেঁচে আছেন তিনি। ভারতে চিকিৎসা নিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আট লাখ টাকা ব্যয় বহন করা হয়েছে।
×