ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাসিকের বর্জ্যে একাকার সড়ক, বেহাল সিটি হাট

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৪ আগস্ট ২০১৬

রাসিকের বর্জ্যে একাকার সড়ক, বেহাল সিটি হাট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ‘পরিচ্ছন্ন’ হিসেবে খ্যাত হলেও রাজশাহী নগরীর বর্জ্যে এখন দূষিত হয়ে উঠেছে নগরীর সিটি বাইপাস এলাকা। শহরের সব বর্জ্য সিটি বাইপাস সড়কের পাশের ভাগাড়ে ফেলায় এখন এলাকাবাসীর জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইপাস ঘেঁষে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুরহাটও এখন একাকার রাসিকের দূষিত বর্জ্য।ে দেখে মনে হবে পুরো হাট এখন পরিণত হয়েছে দূষিত বর্জ্যের ভাগাড়ে। শহর পরিচ্ছন্ন থাকলেও অদূরেই দূষিত পরিবেশের কারণে ক্ষুব্ধ এখন এলাকাবাসী। শহরে আধুনিক বর্জ্য ফেলার স্থান থাকলেও সেখান থেকে নিয়ে টনে টনে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সিটি বাইপাস সড়কে। ফলে নগরীর পাশ ঘেঁষে নির্মিত বাইপাস সড়ক আর সিটি হাট এখন হয়ে উঠেছে নর্দমার ভাগাড়। রাসিক কর্তৃপক্ষের দাবি ক্রেনড্রেজার মেশিন অকেজো থাকায় এবং কয়েকদিনের বৃষ্টির জন্য এমন অবস্থা হয়েছে। সরেজমিন নগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর থেকে সামান্য পশ্চিমে গিয়ে দেখা যায় সর্বত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সড়কের একপাশে রাসিকের বর্জ্য ফেলার ভাগাড় হলেও বর্জ্যে একাকার হয়ে গেছে পুরো সড়ক। এমনকি পশুহাটের অফিস ঘর পর্যন্ত বর্জ্য আবর্জনায় ভর্তি হয়ে রয়েছে। হাটের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনও ভরে গেছে দূষিত বর্জ্যে। ভাগাড় থেকে পশুহাট ও মহাসড়কে উঠে এসেছে বর্জ। বর্জ্য খেয়ে মারা গেছে কয়েকটি কুকুরও। মরে আছে কাকও। সেখানে যোগ হয়েছে বেসরকারী ক্লিনিকগুলোর বর্জ্য। আবর্জনার দূষিত গন্ধে এখন ওই এলাকায় টেকা দায় হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটিহাটের এক পাহারাদার বলেন, কোন কোন সময়ে এসব ক্লিনিকের মরা শিশুও ফেলে রেখে যায়। এসব মরা পশুপাখি ও বর্জ্যের বিশ্রি গন্ধে এলাকা দূষিত হয়ে উঠেছে। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা তো বটেই ওই এলাকার বাসিন্দারাও গন্ধে টিকতে পারছে না। জানা গেছে, নগরীর সব বর্জ্য হাটের পাশের ভাগাড়ে ফেলা হলেও উপচে চলে এসেছে সড়কে। হাটের মধ্যে কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাসিক কর্তৃপক্ষ হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নাগরিক সেবার কোন নাম নেই। মূল শহর পরিচ্ছন্ন রাখলেও শহরের মধ্যেই চরম পরিবেশ দূষণ করছে খোদ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মাদ মামুন (ডলার) বলেন, রাসিকের ক্রেন ড্রেজারটি অকেজো থাকায় সড়কের বর্জ্য অপসারণ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। দু’য়েক দিনের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে বলে জানান তিনি।
×