ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তাজউদ্দীনের জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৫ জুলাই ২০১৬

তাজউদ্দীনের  জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের ইতিহাসের ট্র্যাজিক হিরো। জাতীয় পর্যায়ে তাঁর মতো বড়মাপের রাজনীতিকের যথার্থ মূল্যায়ন এখনও হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা আর তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন সেটির রূপকার। তাজউদ্দীনের প্রকৃত মূল্যায়ন করতে রাজনৈতিক ঔদার্য প্রয়োজন, যা কখনও দেখা যায়নি। জাতীয় এই নেতার জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হলে ইতিহাসের দায় কিছুটা হলেও শোধ হবে। তাজউদ্দীন আহমদের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। রবিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে অনির্বাণ ৭১ নামের একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের প্রধান উপদেষ্টা ও সহায়ক ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন তাজউদ্দীন আহমদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রবীণ রাজনীতিক ডাঃ এম এ করিম, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, তাজউদ্দিনের জ্যেষ্ঠ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি ও আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ইফতেখার পাভেল। এইচটি ইমাম বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার গঠনের পর দাফতরিক ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য লোকের প্রয়োজন হয়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় তাজউদ্দীন আহমদ আমাকে চেয়ে লোক পাঠান। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনিই ছিলেন সরকারের মুখপাত্র। তিনি কথা কম বলতেন, কিন্তু তাঁর নির্দেশাবলী সবাই মেনে চলত। তীক্ষè বুদ্ধিসম্পন্ন ও সুস্পষ্ট চিন্তার মানুষ ছিলেন তাজউদ্দীন। প্রশাসন পরিচালনায় তাঁর দূরদর্শিতা ছিল। অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে তাজউদ্দীনের মূল্যায়নের জন্য আমরা এখনও অপেক্ষমাণ।’ তিনি তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানান। সিমিন হোসেন রিমি বলেন, তার বাবা তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার কথা ভাবতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েই তিনি ব্যাপকভাবে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রচলনের ব্যাপারে ভেবেছিলেন। আজকের তরুণ প্রজন্মকে দেখে বিভ্রান্ত মনে হয়। বেকার তরুণদের জন্য ব্যাপকমাত্রায় কারিগরি শিক্ষা প্রচলনের আহ্বান জানান তিনি।
×