ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গনের মুখে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধের সঙ্কট বেড়েই চলেছে, বন্যার্তদের দুর্ভোগ

১২ জেলায় বন্যার বিস্তার, পানিবন্দী সাত লাখ

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৫ জুলাই ২০১৬

১২ জেলায় বন্যার বিস্তার, পানিবন্দী সাত লাখ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্যাকবলিত এলাকার আয়তন ও পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার বন্যার্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাত লাখে পৌঁছেছে। বন্যাকবলিত এলাকা বেড়ে ৬টি থেকে ১২টি জেলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। সুনামগঞ্জে কলাগাছের ভেলা ও নৌকাডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে দু’জন। ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৬শ’ পরিবারের ভিটেমাটি। বন্যার্ত এলাকাগুলোতে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সঙ্কট বেড়েই চলেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া জমিতে থাকা ফসলাদি ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে কৃষকরা। বন্যাকবলিত সব এলাকার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানু অনানুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দু’পাড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চার শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। পর্যবেক্ষণাধীন ৯০টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে রবিবার ৬২টির পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের সবকটি প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যসমূহে ভারি বর্ষণ ও বন্যা অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রায় সবকটি জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ চলে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে বেশ সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবারের বিকেলের মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়ে রাজধানীবাসী। নগরীর অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয় সাময়িক জলাবদ্ধতা। বন্যাকবলিত এলাকা ও বন্যার্ত ॥ বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ জামালপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড়, ফরিদপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ , রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ। নীলফামারীর ২৫ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তিনটি গ্রামের দুই হাজার মানুষ, কুড়িগ্রামের ৪০ ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ, গাইবান্ধার ২২ ইউনিয়নের ৭০ গ্রামের ২০ হাজার পরিবারের দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ, জামালপুর জেলার ১৬ ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের এক লাখের বেশি মানুষ বন্যার্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া রবিবার গাইবান্ধার পাঁচ ইউনিয়নের ২২ গ্রামে এবং টাঙ্গাইলের যমুনাসংলগ্ন গ্রামগুলোতে নতুন করে পানি উঠতে শুরু করেছে। আর মুন্সীগঞ্জের পদ্মা অববাহিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাভাস ॥ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী রিপন রবিবার সন্ধ্যায় জানানয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীসংলগ্ন কুড়িগ্রাম, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীসংলগ্ন রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী কাজিপুরে, রণদী সিংড়ায় ও পদ্মা নদী ভাগ্যকূলে তাদের নিজ নিজ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যে জামালপুর জেলার ১৬ ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজপাঠক আব্দুল মান্নান জানান, বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করা হয়েছে। ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, যমুনার প্রবল স্রোতে চিনাডুলি ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া থেকে শিংভাঙ্গা পর্যন্ত এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে কমপক্ষে ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাদল জানান, বন্যার পানির তীব্র স্রোতে রবিবার সকালে উলিয়া বাজারের পাশে যমুনার পূর্ব তীর সংরক্ষণ বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, রবিবারও কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। সাত দিন ধরে পানিবন্দী মানুষের হাতে কাজ নেই। ঘরে খাবার নেই। খাবার থাকলেও নেই জ্বালানি, তরিতরকারি, লবণ, তেল, মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ফলে এখন ঘরে ঘরে খাদ্যের জন্য হাহাকার বিরাজ করছে। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া আড়াই লক্ষাধিক মানুষের দিন কাটে অর্ধাহার-অনাহারে। এখন পর্যন্ত সরকারীভাবে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য বরাদ্দ মিলেছে ১৯২ টন চাল ও ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, যা মাথাপিছু বরাদ্দ দাড়ায় ৯৬০ গ্রাম চাল ও ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। ফলে প্রতিদিন জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে বাড়ছে ভুখা মানুষের ভিড়। নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, করতোয়, ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে ফুলছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ২২ গ্রামে নতুন করে পানি উঠতে শুরু করেছে। নিজস্ব সংবাদদাতা সুনামগঞ্জ থেকে জানান, ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী নদী খাসিয়ামারা, পিয়াইন, যাদুকাটা, চলতি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে গেছে সুনামগঞ্জ-হালুয়াঘাট সড়কের নবীনগর এলাকার আধা কিলোমিটার রাস্তা। প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে দু’জন নিখোঁজ রয়েছে। সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের নবীনগর-ধারারগাঁও সড়কের ভাঙ্গন অংশে কলাগাছের ভেলা নিয়ে কিশোর সৌরভ ও রাসেল খেলার ছলে ঘুরছিল। হঠাৎ কলাগাছের ভেলা উল্টে সৌরভ ও রাসেল পানিতে ডুবে যায়। পরে রাসেল সাঁতার কেটে পাড়ে উঠলেও সৌরভ (১৪) নিখোঁজ হয়। সৌরভ সদর উপজেলার বেরীগাঁও গ্রামের আলমাছ আলীর ছেলে। স্টাফ রিপোর্টার পঞ্চগড় থেকে জানান, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সরকারপাড়া, ভাদ্রুবাড়ী ও রনচ-ী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শাকসবজিসহ ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, অবিরাম বর্ষণ ও ভারতের ফুলবাড়ী ব্যারাজের পানি আকস্মিক ছেড়ে দেয়ায় মহানন্দা নদীর পানি বেড়ে নদীতীরবর্তী তিন গ্রাম প্লাবিত হয়। স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ১৭ ফেরির মধ্যে রবিবার চলাচল করে মাত্র ৯টি। তীব্র স্রোতে ফেরিগুলো চলতেই পারছে না। যেগুলো চলছে পারাপারে সময় ব্যয় হচ্ছে দেড়গুণ। দু’পাড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চার শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। আকস্মিক পানি বেড়ে শনিবার থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ফেরি সার্ভিস চ্যালেঞ্জে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ ফেরি চলাচল বিঘিœত হওয়ায় পণ্যবাহী বহু ট্রাক আটকা পড়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার শাহ নেওয়াজ খালিদ জানান, স্রোত মোকাবেলা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শনিবার রাতে বিকল হয়ে যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর। আর শিমুলিয়া থেকে যানবাহন ভর্তি করে কাওড়াকান্দি যাওয়ার পথে স্রোতের মধ্যে রো রো ফেরি শাহ পরাণ নোঙর করতে বাধ্য হয় লৌহজং টার্নিংয়ে। স্রোতে ভেসে আসা কাশবন ফেরিটির পাখায় এমনভাবে আটকে যায়, যাতে চলতে পারছিল না। যানবাহন নিয়ে ফেরিটি রাত ১০টা থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টা আটকেছিল। নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ফরিদপুর সদরের ডিক্রীরচর ইউনিয়নের তমিজউদ্দিন ম-লের ডাঙ্গি গ্রামে আয়নালের বাড়ির পাশে ৫০ ফুট, পালডাঙ্গি গ্রামে জয়নালের বাড়ির সামনে ২০ ফুট ও ফকিরডাঙ্গি গ্রামে মোল্লাবাড়ির নিকট ২০ ফুটসহ মোট ৯০ ফুট কাঁচারাস্তা পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, প্রচ- গর্জনে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে তিস্তা নদী। তিস্তার উজানে ভারত কর্তৃপক্ষ রেড এ্যালার্ট জারি করায় বাংলাদেশ অংশের তিস্তা অববাহিকার চর ও চরগ্রাম এবং তিস্তাসংলগ্ল গ্রামের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় তা আরও ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। প্রচ- শব্দে প্রবাহিত তিস্তার রাক্ষুসী রূপ তিস্তা অববাহিকার মানুষজনকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তিস্তার বানের তোড়ে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার ২৫ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়া উজান থেকে তিস্তার গতিপথ পাল্টে ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজের উজানের চরখড়িবাড়ি ও পূর্ব খড়িবাড়ি মৌজার ১৫ গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসায় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি বিধ্বস্ত হলে লালমনিরহাট জেলার দুটি উপজেলা হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ তিস্তা নদীতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। ওই ১৫ গ্রামের পরিবারগুলো তিস্তার ডান তীরের প্রধান বাঁধসহ বিভিন্ন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। ওসব এলাকার ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনগুলো তিস্তায় ভেঙ্গে পড়ছে এবং বানের পানিতে তলিয়ে রয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা মির্জাপুর থেকে জানান, প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের ফলে মির্জাপুর পৌরসভার সেতুসংলগ্ন সওদাগরপাড়ার বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত এ নদীভাঙ্গন রোধ করা না গেলে বঙ্গবন্ধু রেল সংযোগ সড়কের মির্জাপুর রেলস্টেশন হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কুর্ণী ফতেপুর রাস্তার থলপাড়া (বৈলানপুর) সড়ক রক্ষা বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ে একাংশ ভেঙ্গে গেছে বলে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন তালুকদার জানিয়েছেন। ভাঙ্গনের ফলে থলপাড়া গ্রামের বিপুলসংখ্যক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে বলে তিনি জানান। কয়েকদিনের ভাঙ্গনে থলপাড়া (বৈইলানপুর) কবরস্থান ও কুর্ণী ফতেপুর রাস্তা ও সড়ক রক্ষা বাঁধের একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বৈইলানপুর গ্রামের আমিনুর, সেলিম খান, নুরুল ইসলাম ও আলী হোসেনেরসহ কমপক্ষে ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।
×