ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২২ জুলাই ২০১৬

উবাচ

ঘরে ঘরে অফিস! স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুলশান হামলার পর ওই এলাকা থেকে বিদেশীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকল বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে সরাতে হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কার্যালয়। ঘরের পাশের ঘর থেকে দলীয় কার্যালয় সরে যাওয়ায় চটেছেন বিএনপি নেতারা। দলটির স্থায়ী (৬ পৃষ্ঠা ১ কঃ দেখুন) ঘরে ঘরে (প্রথম পৃষ্ঠার পর) কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কার্যালয় সরিয়ে দিলে ঢাকাসহ সারাদেশের ঘরে ঘরে দেশনেত্রীর কার্যালয় তৈরি হবে। সেটা কি আদৌও সম্ভব? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপির প্রতিটি কার্যালয় হলো খালেদা জিয়ার কার্যালয়। সেটা কোথাও আবাসিক এলাকায়, আবার কোথাও বাণিজ্যিক এলাকায়। কোন রাজনৈতিক দলের অফিস কোন এলাকায় থাকবে, সরকার থেকে এমন কোন দিকনির্দেশনা কখনও দেয়া হয়নি। সংসদ থেকেও এমন কোন আইন পাস হয়নি। দেশবাসীকে এমন কোন গ্যারান্টি কি দেয়া হবে যে, গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয় সরিয়ে দিলে দেশে আর কোন ঘটনা ঘটবে না। এমনকি ক্রসফায়ারেও কেউ খুন হবে না। গুলশান থেকে দেশনেত্রীর কার্যালয় সরানোর পরেও যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে? তবে ঘরে ঘরে খালেদা জিয়ার কার্যলয় হলেই যে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ হয়ে যাবেÑ এই গ্যারান্টি কি দিতে পারবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ভয়ে...? স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী দমনে সরকারের সাঁড়াশি অভিযানে বিএনপি চেয়ারপার্সন ভয় পেয়েছেন দাবি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়া তার দল ও জোটের ‘সন্ত্রাসীদের রক্ষার জন্যই’ জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় ঐক্যের ‘ডাকের সুযোগ নিয়ে’ খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ‘ধুয়ো তুলছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে সহায়তা করতে চাইলে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটে ‘যেসব যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী আছে’ তাদের তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়ার আহ্বানও জানান খালেদাকে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ‘ঘটা করে বৈঠক’ করার প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সেটা না করে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী নিয়ে কী করে ঐক্যের কথা বলেন। এটা দেশের মানুষ বোঝে। জঙ্গী দমনে সরকারের সাঁড়াশি অভিযানে ভীত হয়ে দল ও জোটের সন্ত্রাসীদের রক্ষার করার জন্যই ঐক্যের কথা বলছেন খালেদা জিয়াÑ এটা দেশবাসী জানে। আমরা সন্ত্রাসীদের লালন-পালনকারীদের সঙ্গে কোন বৈঠক করতে চাই না। জনগণের কাছেÑ স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী হামলার পর দেশে শান্তির বাণী ছড়ানোর আশ্বাস দিয়ে জনগণের দরজায় দরজায় ঘোরার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। তিনি জঙ্গীবাদবিরোধী সমাবেশে বলেন, ‘আমি আবার ডাকছি, আহ্বান করছি, আসুন সবাই এক সঙ্গে বসি। পৃথিবীর মানুষ দেখুক, আমরা একসঙ্গে আছি, একসঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়েছি। এখানে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’ এজন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তবে বক্তৃতা দেয়ার পর শনিবার রাতেই দেশ ছাড়েন এরশাদ। তিনি এখন আমেরিকায় রয়েছেন। এরশাদ বলেন, যতদিন পর্যন্ত শান্তি ফিরে না আসবে ততদিন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ চলতে থাকবে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে আমি জনগণের কাছে যাব। শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেব। কিন্তু এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব না। এখানে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মানুষ আতঙ্কিত। এমন বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী হামলা করেছে তারা জেএমবি, আনসারুল্লাহ নয়, তারা ইউনিভার্সিটির ছাত্র। সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে, তারা আত্মঘাতী। তারা জীবন দিতে এসেছে। আমাদের সরকারকে বুঝতে হবে, কেন শিক্ষিত ছাত্ররা, ধনীর দুলালরা অস্ত্র হাতে নিয়েছে। কী কারণে তাদের মনে অশান্তি সৃষ্টি হলো। কী কারণে তারা এতজন বিদেশীকে হত্যা করল।
×