ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উপকূলে পানিবন্দী কয়েক শ’ পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২২ জুলাই ২০১৬

উপকূলে পানিবন্দী কয়েক শ’ পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চকরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পূর্ণিমার তিথিতে হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রোয়ানুর আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ৪২টি পয়েন্টে রীতিমতো চলছে জোয়ার-ভাটা। পূর্ণিমার তিথির জোয়ারে কোন কোন স্থানে কোমর সমান পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এ মৌসুমে বোরো চাষাবাদ। জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে চকরিয়ার ৬৫এ-৩ পোল্ডারের পহরচাঁদা, ৬৫এ-১ পোল্ডারের চিরিঙ্গা সওদাগরঘোনা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। একইভাবে ৬৫ পোল্ডারের কোণাখালী মরংঘোনা ও বিএমচরে ৬টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে একাকার হয়ে পড়েছে। রোয়ানুর আঘাতে পেকুয়ার মগনামা, উজানটিয়ার অন্তত ৬টি ও কুতুবদিয়ায় সাতটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। তারমধ্যে কুতুবদিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করার কারণে প্রতিদিন এলাকার শত শত বসতবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জেলার অন্য উপজেলার সঙ্গে পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য নতুন টেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সহসা ওসব এলাকায় মেরামত কাজ শুরু করা হবে। চকরিয়া কোণাখালী তিন শ’ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশটি শাখা খালে পরিণত হয়েছে বর্তমানে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুই দফা জোয়ারের সময় সাগরের জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এতে এলাকার কয়েক শ’ পরিবার চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
×