ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘শরণার্থী সঙ্কটে ব্রিটেনকে আরও সাড়া দিতে হবে’

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২১ জুন ২০১৬

‘শরণার্থী সঙ্কটে ব্রিটেনকে আরও সাড়া দিতে হবে’

ক্যানটারবারির সাবেক আর্চবিশপ রওযান উইলিয়ামস বলেছেন, শরণার্থী সঙ্কটে যুক্তরাজ্য সরকারের আরও বেশি সাড়া দেয়া প্রয়োজন। খবর বিবিসি অনলাইনের। দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্রিশ্চিয়ান এইডের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. উইলিয়ামস বলেন। যুক্তরাজ্যে শরণার্থী আর ধরবে না বলে মিডিয়ায় যে বাগাড়ম্বর ভাষায় প্রচার করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এ সঙ্কটকে অবশ্য না দেখার ভান করবে না। আমাদের আরও কিছু করতে হবে। সরকার বলেছে, দেশটি ২০২০-এর মধ্যে ২০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং এর মধ্যেই ১ হাজার ৬শ’ শরণার্থী এসে পৌঁছেছে। ড. উইলিয়ামস সোমবার অনুষ্ঠেয় শরণার্থী সপ্তাহকে সামনে রেখে মন্তব্য করছিলেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ শরণার্থী সঙ্কট হচ্ছে ইউরোপে মানুষের সবচেয়ে বড় স্থানচ্যুতির ঘটনা। তিনি বলেন, যারা স্বদেশে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে যে সকল মরিয়া মানুষ নিরুপায় আশ্রয়ের সন্ধানে বিপজ্জনক যাত্রার আশ্রয় নেয়। তথাপি অনেক দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে এবং কাঁটা তারের বেড়া দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার গর্বিত ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্য নাৎসি জার্মানির ইহুদী শিশুদের, ১৯৭০’র দশকে ভিয়েতনামী শরণার্থীদের এবং ১৯৯০’র দশকের শেষে কসোবা শরণার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। যারা বলেন যুক্তরাজ্যে আর স্থান নেই তাদের এ উক্তির কোন ভিত্তি নেই। তারা ইতিবাচক দিকগুলোর স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। শরণার্থীদের প্রজন্ম ব্রিটিশ সমাজকে গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, ক্রিশ্চিয়ান এইড এ বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত যে, সকল মানুষ প্রতিবেশী হিসেবে বসবাস করবে। দেশ ত্যাগ করেছে ৪০ লাখের বেশি সিরীয়। এদিকে, স্বরাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্য গত মাসে ঘোষণা করেছে আমরা ২০ মার্চের আগে গ্রিস, ইতালি বা ফ্রান্সে নিবন্ধনকৃত নিঃসঙ্গ অভিবাসী শিশুদের পুনর্বাসন করব।
×