ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে এক আওয়াজ- রুখো জঙ্গীবাদ ॥ মানববন্ধনে লাখো মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২০ জুন ২০১৬

সারাদেশে এক আওয়াজ- রুখো জঙ্গীবাদ ॥ মানববন্ধনে লাখো মানুষের ঢল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার পথে লাখো মানুষের ঢল নামিয়ে চলমান গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের রাজনৈতিক শক্তির মহড়া দেখাল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। শুধু ঢাকায় নয়, রবিবার সারাদেশেই একসঙ্গে বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটসহ সকল অপশক্তির চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলারও ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষনেতারা বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গুপ্তহত্যাকারী, জঙ্গী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদদাতা বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সারাদেশে যে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে কেউ তা থামাতে পারবে না। গুপ্তহত্যা ও খুনীদের অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী যে বাংলার জনগণ মানববন্ধনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ঢলে আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে। খালেদা জিয়ারা এসব দেশবিরোধী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে দেশবাসীই তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। তাঁরা দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোটের পেট্রোলবোমা- পুড়িয়ে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি, এখন গুপ্তহত্যাও বন্ধ হবে। এজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি গুপ্তহত্যা বন্ধে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ঐক্যের ডাকের সমালোচনা করে বলেন, গুপ্তহত্যাকারী এবং তাদের অর্থদাতা, প্রশ্রয়দাতাদের সঙ্গে কোনদিন ঐক্য হতে পারে না। আগে বিএনপি নেত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের সঙ্গত্যাগ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে দেশব্যাপী গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুলাই ‘গণপ্রতিরোধ সপ্তাহ’ পালনের নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গুপ্তহত্যাকারীদের চেয়ে শক্তিশালী হলো বাংলার জনগণ। দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে তারা সেটি দেখিয়ে দিয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ১৯ জুলাই দেশব্যাপী প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন করা হবে। ওই প্রতিরোধ সপ্তাহে আমরা গ্রাম থেকে গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় গিয়ে গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করব। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলব। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে নাসিম বলেন, আপনি আলোচনা চান, অবশ্যই আমরা আলোচনা চাই। কিন্তু এর আগে সৎ সাহস থাকলে খালেদা জিয়া আপনি ঘোষণা করেন, জামায়াতের সঙ্গে আপনাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। আপনি গুপ্তহত্যার জন্য ক্ষমা চান। তারপর ভেবে দেখব আপনার সঙ্গে বসা যায় কি-না। এর আগে কোন খুনীর সঙ্গে, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। সারাদেশে গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গীবাদের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে রবিবার বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে এ মানবপ্রাচীরের সূচনা। সেখান থেকে শ্যামলী, আসাদগেট, কলাবাগান, রাসেল স্কোয়ার, বসুন্ধরা মার্কেট, সোনারগাঁও হোটেল মোড় হয়ে শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে হয়ে মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন মোড় হয়ে নূর হোসেন স্কোয়ার, গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার থেকে পার্কের ভেতর হয়ে ইত্তেফাক মোড়, রাজধানী সুপার মার্কেট হয়ে সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী গিয়ে এ মানবপ্রাচীর শেষ হয়। আর এ দীর্ঘপথের বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মানবপ্রাচীর কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন। ঢাকা মহানগরীর প্রায় ১০০টি থানা থেকে গুপ্তহত্যাকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহতের দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অজস্র মিছিল নির্দিষ্ট করে দেয়া স্থানে এসে গড়ে তোলে এ মানবপ্রাচীর। শুধু ১৪ দলের নেতাকর্মীই নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অজস্র সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনও মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গুপ্তহত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি ঘৃণা জানায়। তবে এ মানববন্ধনের কারণে ঢাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, ফার্মগেট শ্যামলী এলাকায় যানজটে পড়ে দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকেছিল। এতে নগরবাসীকে কিছুটা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সামনে মানববন্ধনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেনÑ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার, জাতীয় পার্টির (জেপি) শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদের (ইনু) শিরিন আক্তার, আওয়ামী লীগের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নুরুর রহমান সেলিম, ডাঃ শহিদুল্লাহ সিকদার, ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন, এসকে সিকদার, রেজাউর রশিদ খান, অসীত বরণ রায়, মহানগর আওয়ামী লীগের আবুল হাসনাত, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ছাত্রলীগের জাকির হোসাইন, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ। গুপ্তহত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করার বিষয়ে মানববন্ধনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া আপনি ভুলে গেছেন, আপনার সময় আপনি কী করেছিলেন? শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা হয়েছিল। হত্যাকারী আপনার দলের লোক। এখন আপনি শেখ হাসিনাকে হুমকি দেন! বাংলার মানুষ আপনাকে প্রতিরোধ করবে। আপনি একজন হিংসুটে মহিলা। রাশেদ খান মেনন বলেন, বেছে বেছে সংখ্যালঘু ও দুর্বলচিত্তের লোকজনদের হত্যা করা হচ্ছে। দেশে সাম্প্রদায়িক আবহ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি বলেন, আজ দেশবাসী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। জনমত গড়ে উঠছে। হামলাকারীদের জনগণ প্রতিরোধ করা শুরু করেছে। মাহবুব-উল আলম হানিফ খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের ডাকের সমালোচনা করে বলেন, আমরাও ঐক্য চাই। তবে যারা গুপ্তহত্যা করে মানুষ মারে, আগুন দিয়ে মানুষ মারে তাদের সঙ্গে ঐক্য নয়। দেশবাসীকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত এ সাধারণ সম্পাদক। জঙ্গী-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুনÑ তোফায়েল ॥ আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দেশবাসীকে জঙ্গী-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। দেশের এ উত্থান ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। দেশে যে গুপ্তহত্যাগুলো ঘটছে এর সঙ্গেও যে বিএনপি-জামায়াত জড়িত তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাজধানীর রাসেল স্কোয়ারে ১৪ দল আহূত মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এ কারণে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্রতিদিন ইফতারের সময় আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে সন্ত্রাসীদের পক্ষ গ্রহণ করছেন। গুপ্তহত্যাকারী খুনীদের আড়ালসহ প্রকাশ্যেই তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। আসলে খালেদা জিয়া একজন হতাশ নেত্রী। এ কারণেই তিনি প্রতিদিন ইফতারের সময় আল্লাহর নাম না নিয়ে গলা ফাটিয়ে ‘হাসিনা, হাসিনা’ করে চিৎকার করে যাচ্ছেন। এখন যদি আমরা ‘খালেদা খালেদা’ বলি তাহলে এটা কি ভাল লাগবে? খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের অশান্ত পরিবেশের জন্য আপনিই দায়ী। তাঁর নির্দেশেই বেছে বেছে নিরীহ মানুষকে গুপ্তহত্যা করা হচ্ছে, যাতে প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের দেশগুলো সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে। তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পুত্র লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে আগে কখনও গুপ্তহত্যা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি একজন ব্রিটিশ এমপিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি নেত্রীর পুত্র সেখানে আছে বলেই সেখানেও গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি বলেন, খালেদা জিয়া আবারও গুপ্তহত্যায় মেতে উঠেছেন। আমরা আজকের এ মানবন্ধনের মাধ্যমে দেশবাসীকে সজাগ করে এদের বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলব, যাতে এদের শীঘ্রই প্রতিরোধ করে সম্পূর্ণভাবে গুপ্তহত্যা বন্ধ করা যায়। পাশাপাশি ১৬ কোটি দেশবাসীকে ৩২ কোটি চোখ দিয়ে সজাগ থেকে মাদারীপুরের মতো গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহ্বানও জানান তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেনÑ কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ হোসেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, এসএম কামাল হোসেন, আশরাফুন্নেসা মোশাররফ, অধ্যাপিকা অপু উকিল, বাহাদুর বেপারী প্রমুখ। জঙ্গীবাদ বিতাড়িত করতে এ্যাকশন কর্মসূচীÑ ও. কাদের ॥ শ্যামলী থেকে আসাদগেট পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা তলে তলে বড় ধরনের আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই শুধু মানববন্ধনের মতো কর্মসূচী দিয়ে তাদের প্রতিহত করা সম্ভব হবে না। তাদের চিরতরে এ দেশ থেকে বিতাড়িত ও নির্মূল করতে হলে এ্যাকশনধর্মী কর্মসূচী নেয়া উচিত। তিনি বলেন, আমি বোঝাতে চাচ্ছি খ- খ- কর্মসূচী না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সকল শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে এনে জঙ্গী-গুপ্তহত্যাকারী ও তাদের দোসরদের প্রতিহত করা। কারণ রাজনীতিতে প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে গোপন শত্রুরা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে জাতি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাক হানাদারদের পরাজিত করে একটি দেশ স্বাধীন করেছে তারা কখনও ভীত হতে পারে না। আমরা ভীত হওয়া জাতি নই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা সকল শাান্তিপ্রিয় মানুষ আছি। জঙ্গী, গুপ্তহত্যাকারীদের পেছনে যারা আছে, অর্থ যোগান দিচ্ছে তারা সকলেই পরাজিত হতে বাধ্য। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এ কর্মসূচীতে দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে জানান দিচ্ছে জাতি হিসেবে আমরা সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। আর ১৪ দল আমরা রাজনৈতিকভাব জানান দিচ্ছি, আমরা এ গুপ্তহত্যা, জঙ্গীবাদকে প্রতিহত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মাধ্যমে সকল অশুভ শক্তি সতর্ক হবে। কর্মসূচীতে আরও অংশ নেনÑ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, খালেদা তারেক তৃপ্তি প্রমুখ। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাসদ একাংশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ বক্তব্য দেন। একই স্থানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট এলায়েন্সের (বিএনএ) আহ্বায়ক ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা অংশ নেন। সায়েদাবাদ জনপথের মোড় ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। রাজধানীর মুক্তঙ্গানে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে যুবলীগ। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেনÑ যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ। অন্যদিকে গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা নেতৃত্ব দেন। শাহবাগে চিকিৎসকদের মানববন্ধন ॥ ১৪ দল আহূত মানববন্ধন কর্মসূচীতে একাত্মতা প্রকাশ করে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, অফিসার, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন গড়ে তোলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খানের নেতৃত্বে কর্মসূচীতে অধ্যাপক ডাঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডাঃ আলী আসগর মোড়ল, অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আবদুল হান্নান, অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, অধ্যাপক ডাঃ একেএম সালেহসহ বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক অংশ নেন এবং চলমান গুপ্তহত্যার কঠোর সমালোচনা করেন।
×