ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভেজাল খাদ্যের গোপন তথ্য দিলে পুরস্কার

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৯ জুন ২০১৬

ভেজাল খাদ্যের  গোপন তথ্য  দিলে পুরস্কার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শীর্ষ সন্ত্রাসী ধরা কিংবা চোরাচালানের তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার দেয়ার রেওয়াজ আছে। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানের পুরস্কার। খাবারে ভেজাল থাকার গোপন সংবাদ যিনি দেবেন তাকে দেয়া হবে পুরস্কার। এমন উদ্যোগ নিয়েছে নিরাপদ খাদ্য বিভাগ। কোথাও কোন ভেজাল ও বাসি খাবার দেখলে লিখিত অভিযোগ করলেই মিলবে এ পুরস্কার। লিখিত অভিযোগ প্রমাণ হলেই অর্থদ-ের ২৫ শতাংশ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে পেয়ে যাবেন সংবাদদাতা। এ সম্পর্কে জানা যায়, ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ৬৬ ও ৭৮ ধারায় বলা হয়েছে, আপনার নিকট ভেজাল, দূষিত বা অনিরাপদ খাদ্য বিক্রিয় করা হলে এবং আপনার অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করতে পারবেন। আর সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এবং খাদ্য আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে কোন অর্থদ- আরোপ করলে আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশই প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হবে। জানা যায়, ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ৬২ ধারায় এ ধরনের বিধান থাকলেও প্রচারের অভাবে তাতে তেমন সাড়া মিলছে না। এই আইনের ৬৪, ৬৫ ও ৬৬ ধারা অনুসারে ইচ্ছা করলে যে কেউ মামলা দায়েরের কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জেলার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত মামলা দায়ের করতে পারবেন। ভোক্তা হিসেবে নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। এ্কটি সূত্র জানায়, ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’-এর বাস্তবায়নে জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই যুগান্তকারী আইনকে ব্যাপক হারে প্রয়োগ করার জন্য দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু হবে শীঘ্রই। মানুষ যত বেশি জানবে তত বেশি ভেজালের তথ্য প্রকাশ হবে বলে মনে করেন এই দফতরের কর্মকর্তারা।
×