ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে মীর কাশেমকে

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৮ জুন ২০১৬

মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে মীর কাশেমকে

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা ও আলবদর কমান্ডার মীর কাশেম আলীকে ট্রাইব্যুনালের জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কারা কর্তৃপক্ষ গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে মৃত্যু পরোয়ানার আদেশ পড়ে শুনিয়েছেন। তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন বলে জানিয়েছেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার মীর কাশেম আলী এ কারাগারের ৪০ নম্বর কনডেম সেলে বন্দী আছেন। উচ্চ আদালতে মীর কাশেম আলীর ফাঁসি বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানার আদেশ সোমবার রাতেই প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ-ের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় সোমবার রাত ১টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ পৌঁছে। রাতে মীর কাশেম আলী ফাঁসির সেলে লকআপে চলে যাওয়ায় রাতে তাকে আর ওই মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়নি। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে তা পড়ে শুনানো হয়। এ সময় তিনি অনেকটাই স্বাভাবিকই ছিলেন বলে জানান কারা কর্তৃপক্ষ। রায় পড়ে শুনানোর সময় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বালা, জেলার মোঃ নাশির আহমেদসহ কারাগারের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মীর কাশেম আলী বলেন, আইনজীবী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর কবির জানান, সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যুদ-ের ২৪৪ পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এবং মৃত্যু পরোয়ানা ওই কারাগারে পৌঁছে। পরে রাত ৮টার দিকে তা কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে পাঠানো হয়। মীর কাশেম আলীর আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য সোমবার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার কিংবা শনিবার কারাগারে যাবেন এবং মীর কাশেম আলীর সঙ্গে কথা বলে রিভিউর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির কপি হাতে পাননি। তবে হাতে পেলে বাবার সঙ্গে আলোচনা করে ওই রায়ের রিভিউ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দুই/একদিনের মধ্যে কাশিমপুর কারাগারে যাব।
×