ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ ॥ অবরোধ

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১ মে ২০১৬

রূপগঞ্জে গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ ॥ অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৩০ এপ্রিল ॥ রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার বরাব এলাকার ফিউচার ক্লথিং লিমিটেড নামে একটি রফতানিমুখী গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বকেয়া বেতন-ভাতা দাবি ও বিনা নোটিসে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিকদের মাঝে এ অসন্তোষ দেখা দেয়। পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, ফিউচার ক্লথিং লিমিটেড নামে গার্মেন্টসে আড়াই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। গত দুই মাস পূর্বে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দুই মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই বিনা নোটিসে কারখানা বন্ধ করে দেয়। এরপর ওই সময় কয়েক দফায় শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন। কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে শ্রমিকরা জেলা শ্রমিক নেতাদের নেতৃত্বে চাষাঢ়া শহীদ মিনার এলাকায় অবিলম্বে ফ্যাক্টরি খুলে দেয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রাখেন। শ্রমিকরা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরে কারখানা পরিচালক শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া দেলোয়ার হোসেন ও মাহবুবুর রহমান নামে মালিকপক্ষের আরও দু’জন পলাতক রয়েছে। কনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরাব এলাকার ফিউচার ক্লথিং লিমিটেড কারখানার সামনে শ্রমিকরা ফের অবস্থান নেন। এরপর তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সড়কের উভয় দিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে শ্রমিকদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তেল মিল শ্রমিকদের ৯ দফা রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী এলাকার বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড নামে তেলের মিলে ৯ দফা দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করেন। শনিবার সকালে এ শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই মিলে সাড়ে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে মিলের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় মিল কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকরা ৯ দফা দাবি পেশ করেন। দাবির বিষয়ে কোন প্রকার উত্তর না পাওয়ায় শ্রমিকরা দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু করেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করেন। পরে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) কাছে গিয়ে ৯ দফা দাবির বিষয়টি অবহিত করেন। এ বিষয়ে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ চাকমা বলেন, কারখানার কার্যক্রম নিয়মের মধ্যেই চলছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়গুলো মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
×