ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২২ এপ্রিল ২০১৬

উবাচ

পুলিশ কই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশ প্রটোকল নিয়ে ঢাকা থেকে বাকেরগঞ্জ! তারপর সমাবেশেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিñিদ্র নিরাপত্তা। বাসায়ও সর্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন। এক কথায় পুলিশ ছাড়া চলেন না তিনি। এতকিছুর পরও দেশে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দেখেন না প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেছেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। নারী নির্যাতন-শিশু হত্যা প্রতিদিন হচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা জাপার সম্মেলন উপলক্ষে দুই দিনের সফরে এসে মঙ্গলবার বিকেলে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের সাহেবগঞ্জের পল্লী ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এরশাদ বলেন, এখন দেশে সুশাসনের অভাব। যতদিন সুশাসন ফিরে না আসবে, ততদিন আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে না। সাবেক এই স্বৈরশাসক এরশাদ বলেন, দেশে পরিবর্তন ছাড়া সুশাসন আসবে না। পরিবর্তনের সেই সুযোগও দেখছি না। যতদিন পর্যন্ত শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকবে, ততদিন এমনটা চলবে। শক্তিশালী বিরোধী দল গড়তে জাতীয় পার্টি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরের সমালোচনা করতে গিয়ে নিজের সমালোচনাও করেছেন তিনি। হয়ত রাজনৈতিক দুর্বলতার উপলব্ধি এসেছে তাঁর মধ্যে। তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, মাঠপর্যায়ে সবাইকে চাঙ্গা রাখতেই সরকারবিরোধী বক্তব্য দেন তিনি। এ কথা তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ বিরোধী দলের নেতা রওশনও সম্প্রতি বলেছেন। তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যানকে অনেক কথাই বলতে হয়। দল চালাতে গেলে সরকারের সমালোচনা ছাড়া নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা থাকে না। নোমানের হতাশা স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারবিরোধী হেন কোন আন্দোলন নেই যা করেনি বিএনপি তথা তাদের মিত্র জোট? এ প্রশ্ন যদি কাউকে করা হয় তাহলে নিশ্চয় সায় মিলবে। উত্তর সবই করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতার পর এত হিংস্র রাজনৈতিক কর্মসূচী আর কখনই হয়নি। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন হলেও এত জানমালের ক্ষতি হয়নি। বাস্তবতা হলো মাসের পর মাস আন্দোলনের মুখেও সরকারের পতন হয়নি। তাই হয়ত সরকারবিরোধীরা অনেকটাই হতাশ। হতাশায় হয়ত নিজেকে আর সামলাতে পারছেন না বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার আইয়ুব, ইয়াহিয়া, এরশাদের মতো আজকের হাসিনাকেও ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হবে। এই মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন ও বর্বরতার প্রতিবাদে জিয়া সাইবার ফোর্স আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই সরকার দীর্ঘদিন থাকতে পারে না, পারবে না। তার অস্ত্র জনতার লাঠির সামনে টিকবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির অপর ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, ‘মাস্তান দিয়ে ভোট কেন্দ্র ঘিরে রেখে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে, এক একজন শত শত ভোট দিচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে সব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দিন, দিন না আরও দিন আছে। হত্যা, ধর্ষণ, গুম-খুনের রাজনীতির অবসান ঘটবে এবং দুর্বৃত্তরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে।’ শিক্ষার কাণ্ডারী! স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথায় আছে, যাকে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা। হয়ত তাই। সম্পর্ক ভাল না থাকলে যা হয়। ভাল কাজ করলেও প্রতিপক্ষ ভাল দেখেন না। রাজনীতির ময়দানে এ তো অনেক পুরনো চর্চা। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিএনপির যে অবদান তার বাইরে আওয়ামী লীগ সরকারের কোন অর্জন নেই বলে মন্তব্য করেছেন চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক! রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, রাজনীতির কারণেই হয়ত এ কথা বলেছেন তিনি। যাকে বলে বলতে হবে তাই...। কিন্তু তাঁর এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে নানা মহলে, বলা হচ্ছে একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এমন বক্তব্য সুখকর নয়। এ রকম বক্তব্যের কারণে ভবিষ্যত রাজনীতিতে হয়ত কারো কাজ কেউ ভাল দৃষ্টিতে দেখবে না। যে যাই বলুক, দেশের শিক্ষা খাতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে সম্প্রতি। বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা সর্বস্তরের চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত ‘নগ্ন দলীয়করণে বিপর্যস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসমান ফারুক এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে যত অর্জন সব বিএনপি সরকারের। আওয়ামী লীগের শিক্ষার প্রতি কোন নজর নেই। যত আইন করুক না কেন সদিচ্ছা নেই। তিনি বলেন, বিএনপির সময় যে শিক্ষানীতি করা হয়েছে তাতে দক্ষ মানবসম্পদ, নৈতিকতাবোধ সৃষ্টির কথা উল্লেখ ছিল। বর্তমান শিক্ষানীতি পুরনো বোতলে নতুন মদের মতো। পাঠ্যপুস্তক বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বপ্রথম ২০০১ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছিলাম। কই তার কোন পরিবর্তন হয়নি। এ অর্জন বিএনপির, আওয়ামী লীগ তো তা স্বীকার করে না। শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির চেয়ে চিন্তার দীনতা ও দুনীর্তি বেশি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এ মন্ত্রী।
×