অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইরানের বাধায় তেলের বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ার রবিবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম ৭ শতাংশের বেশি কমে যায়। এতে জ্বালানি খাতে আস্থা হারিয়ে ফেলেন বিনিয়োগকারীরা। আর তাতে উর্ধমুখী এশিয়ার প্রধান প্রধান পুঁজিবাজার নিচে নামতে বাধ্য হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এদিন চীনের বেঞ্চমার্কে হ্যাংসেং সূচক ১৫৪.৯৭ পয়েন্ট কমে ২১ হাজার ১৬১ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর সাংহাই কম্পোজিট সূচক ৪৪.০৫ পয়েন্ট পতনে লেনদেন করে।
তেলের দর কমায় অস্ট্রেলিয়ার পুঁজিবাজারও নেতিবাচক ধারায় লেনদেন করে। জ্বালানি খাতের কোম্পানি বিএইচপি বিলিটন এদিন ৩ শতাংশ, উডসাইডের ১.৪ শতাংশ ও রিও টিন্টো ১.৫ শেয়ার দর হারায়। ফলে বেঞ্চমার্কে এএসএক্স ২০০ সূচক পতনে লেনদেন শেষ করে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় তেলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় গত ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পণ্যটির দাম কমতে থাকে। ওই সময় এক ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে ১১৭ ডলার। গত দেড় বছরে এই দর কমতে কমতে ২৬ ডলারে এসে ঠেকে। এরপরই নড়েচড়ে বসতে শুরু করে এর উৎপাদক দেশগুলো। আর তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার বৈঠক হয়। বৈঠকের তেলের উৎপাদন জানুয়ারির পর্যায়ে সীমিত করার চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এতে ইরান সাড়া না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে যায়।
এতে করে সপ্তাহের প্রথম দিনেই বড় ধরনের প্রভাব পড়ে বাজারে। এদিন আন্তর্জাতিক বাজারে এক ব্যারেল অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের অপরিশোধিত ব্রেন্টক্রুড শ্রেণীর তেলের দর ৭ শতাংশ নেমে যায়। ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয় ৪১.২৩ ডলারে। অন্যদিকে ইউএস ক্রুড শ্রেণীর তেলের দরও ৭ শতাংশ কমে বিক্রি হয় ৩৮.৪৮ ডলার। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে হানা দেয়া ভূমিকম্পে জাপানের বাজার এখনও স্থির হতে পারেনি। তার ওপর জ্বালানি খাতের নেতিবাচক প্রভাব। সবমিলে দেশটির বেঞ্চমার্কে নিক্কেই সূচক ৩.৪০ শতাংশীয় পয়েন্ট হারিয়ে ১৬ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে বাজার শেষ করে। দুই দফা ভূমিকম্পে সর্বশেষ ৪১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বেঞ্চমার্কে কোসপি সূচকও এদিন পতনে দেনদেন শেষ করে। সূচক ০.৩ শতাংশ কমে সর্বশেষ ২ হাজার ৯ পয়েন্টে শেষ হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: