ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একাত্তরের বর্বরতা- ঢাবিতে ভাস্কর্য পল্লীর নির্মাণ কাজ বন্ধ অর্থের অভাবে

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৯ এপ্রিল ২০১৬

একাত্তরের বর্বরতা- ঢাবিতে ভাস্কর্য পল্লীর নির্মাণ কাজ বন্ধ অর্থের অভাবে

মুহাম্মদ ইব্রাহীম সুজন ॥ অর্থের অভাবে আটকে আছে ‘একাত্তরের বর্বরতা’ নামক বিশ্বের বৃহত্তম ভাস্কর্য পল্লীর নির্মাণ কাজ। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এই ভাস্কর্য পল্লী প্রদর্শনীর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের সঙ্কুলান না হওয়ায় ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে গত স্বাধীনতা দিবসে উদ্বোধনের কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের ভিতরে নির্মিতব্য ভাস্কর্য পল্লীতে ইতোমধ্যে আট শতাধিক ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকা সম্পর্কে ধারণা দিতে ২০১৪ সালের নবেম্বরে ভাস্কর্য পল্লীটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এই শিল্পকর্মের মাধ্যমে একাত্তরে সংঘটিত ১০০টি ঘটনাকে একটি গ্রামের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার চিহ্ন হিসেবে গ্রামে থাকবে ককশিট ও শোলা দিয়ে নির্মিত এক হাজার ৭১টি প্রতীকী লাশ, ২৫০টি ছোট ঘর, চারটি গণকবর। বিশাল এই শিল্প কর্মের উদ্যোক্তা শিল্পী মিন্টু দে। তার সঙ্গে রয়েছেন ২৬জন সহকারী শিল্পী। মিন্টু দে জনকণ্ঠকে বলেন, একাত্তরের বর্বরতা, নৃশংসতা ও হত্যাযজ্ঞের ভয়াল চিত্র নতুন প্রজন্ম ও জাতির কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে ব্যয় হবে প্রায় তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা। নিজের টাকা দিয়ে কাজের অনেকটা সম্পন্ন করেছি। তবে অর্থাভাবে এখন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ৪৯ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে প্রকল্পের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এটি নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
×