তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান বলেছেন, যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের কথা বিবেচনা করছে তুরস্ক। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সরকারের আলোচনার কিছুই নেই। আঙ্কারায় মঙ্গলবার আইনজীবীদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিতর্কিত চুক্তির অধীনে গ্রীস থেকে তুরস্কে ফেরত পাঠানোর পরবর্তী দফা এথেন্সের অনুরোধে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তুর্কি এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মাইজিয়ের মঙ্গলবার বলেছেন, আগামী মাসের মাঝামাঝিতে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে পারে। এরদোগান সোমবার দেশটির নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তুর্কি সরকার ও পিকেকের মধ্যকার অস্ত্রবিরতি গত বছরের জুলাইতে ভেঙ্গে পড়ে। কুর্দি বিদ্রোহীদের সমর্থনকারীদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব দিয়ে এরদোগান বলেছেন, এই লোকদের আমাদের নাগরিকত্ব প্রাপ্য নয়। যারা তাদের দেশ ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতায় জড়িত তাদের দায়িত্ব নিতে আমরা বাধ্য নই। -এএফপি ও বিবিসি
অভিবাসী সঙ্কট ইস্যুতে গ্রিসে যাচ্ছেন পোপ
ইউরোপে অভিবাসী সঙ্কট ইস্যুতে আগামী ১৪ এপ্রিল গ্রিসে যাচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় খ্রীস্টান ধর্মীয় নেতা ও ভ্যাটিকান সিটিপ্রধান পোপ ফ্রান্সিস। গ্রিক সরকারের বরাত দিয়ে বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানায়।
গত বছর গ্রিসের লেসবস ও এ্যাজিয়ান দ্বীপে আশ্রয় নেয়া হাজার-হাজার শরণার্থী ও অভিবাসীদের খোঁজখবর নিতে তিনি দু’দিনের সফরে যাচ্ছেন বলে গ্রিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
লেসবস পরিদর্শনকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে থাকবেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী এ্যালেক্সিস সিপ্রাস, দেশটির ধর্মীয় নেতা একুমেনিক্যাল প্যাট্রিয়ার্চ বার্থলোমিউসহ শীর্ষ কর্তারা।
ভূমধ্যসাগরী অঞ্চলের দেশগুলো থেকে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসী ও শরণার্থীদের যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তা খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের ওপর ক্ষতিক্ষর প্রভাব পড়ছে। আর সেই চিত্র বিশ্ববাসীর নজরে আনতেই পোপ এ সফরে যাচ্ছেন বলে গ্রিক চার্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়। -ওয়েবসাইট
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: