ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

তনু হত্যার প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে দাখিল

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৭ এপ্রিল ২০১৬

তনু হত্যার প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে দাখিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৬ এপ্রিল ॥ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকা-ের রহস্য এখনও অন্ধকারে। ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি এবং শনাক্ত বা গ্রেফতার হয়নি ঘাতকদের কেউ। এরই মধ্যে তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন বুধবার বিকেলে কুমিল্লার আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোঃ ইব্রাহিম কুমিল্লার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নব বেগমের আদালতে ওই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। জানা যায়, পুলিশ ও ডিবির পর বর্তমানে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। এছাড়াও র‌্যাব, পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মামলার তদন্তে সহায়তা করছে। রহস্যের জট খুলতে পারছে না কেউই। গত ২০ মার্চ তনু হত্যাকা-ের পর প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটি তদন্ত করে। পরে এ মামলা কুমিল্লা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এরই মধ্যে ঢাকা সিআইডির সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সূত্র জানায়, সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানসহ কুমিল্লা সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল এখনও ঢাকায় অবস্থান করছে। তারা মামলার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিশ্লেষণ করছে বলে সিআইডি সূত্র জানিয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএনএ ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট পরবর্তীতে সন্দেহভাজনদের সঙ্গে মিলিয়ে হয়ত ঘাতক শনাক্ত করা যেতে পারে। এছাড়াও জানা যাবে হত্যার মিশনে কতজন অংশ নিয়েছিল। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, যেহেতু প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টে সবকিছু অস্পষ্ট, তাই এখন ভরসা দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। এখন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কামাদা প্রাসাদ সাহার নিকট দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না, তবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে কিছু সময় লাগবে। তাই এর বেশি কিছু বলতে পারব না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী মোঃ ইব্রাহীম বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, আদালতে প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি, এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।
×