ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তদারকিতে মেয়র

টেন্ডার ছাড়াই কুড়িগ্রামে চলছে কাজ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৬ এপ্রিল ২০১৬

টেন্ডার ছাড়াই কুড়িগ্রামে চলছে কাজ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে চলছে উন্নয়নের চমক। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে টেন্ডার ছাড়াই চলছে পৌরসভার উন্নয়ন। মেয়র নিজের তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন প্রায় কোটি টাকার। টেন্ডার না হওয়ায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক দর না আসায় অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হবে পৌর কোষাগারের। পৌর এলাকায় যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসক খান নুরুল আমিনের নির্দেশনার অপব্যাখ্যা করে চলছে এসব অপকর্ম। অভিযোগে জানা যায়, শহরের খেজুরতলা, সার্কিট হাউসের মোড়, যুব উন্নয়ন ভবনের সামনে এবং কলেজ মোড় এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণ, ম্যুরাল নির্মাণ ও গোলচত্বর নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। সার্কিট হাউস মোড়ে এ কাজের নামে পুরনো দুটি গাছের গোড়ার অর্ধেক অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। যেন কোন সময় গাছ দুটি উপড়ে পড়ে। এ গাছ কাটার ব্যাপারে মানা হয়নি সরকারী বিধিবিধান। কেটে গেছে টেলিফোন বিভাগের আন্ডার গ্রাউন্ডের তার। ফলে অনেক গ্রাহকের টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। রাস্তার মাঝে বেঢপ আকারের চার ফুট উঁচু এ ইটের গোল চত্বরের কারণে সৃষ্ট হচ্ছে যানজট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর জানান, এসব গোল চত্বরে স্থাপন করা হবে পাথরের তৈরি ম্যুরাল। এতে শহরের সৌন্দর্য বাড়বে। ব্যয় হবে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। ভাল কাজ করলে কিছু নিয়মের ব্যত্যয় হয়। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসক পৌরসভার যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেয়রকে চিঠি দিয়েছেন। এরই পেক্ষিতে দ্রুততম সময়ে শহরের ৪টি পয়েন্টে গোলচত্বর নির্মাণ, উভয় পার্শের রাস্তা সম্প্রসারণ এবং ম্যুরাল তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এ কাজে কত টাকা ব্যয় হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। তৈরি হয়নি কাজের এস্টিমেট। ফলে টেন্ডারও করা হয়নি। নবনির্বাচিত মেয়র আব্দুল জলিল নিজ দায়িত্বে এসব কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এটি তার তত্ত্বাবধানে চলছে। কাজ করছেন তার মনোনীত জনৈক সাজু। এ কাজের কত টাকা বিল কিভাবে দেয়া হবে এবং এর বৈধতা কিভাবে হবে? এর জবাবে জানান, পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় পরবর্তীতে সব সমন্বয় করা হবে। পৌরসভার সচিব এস এম রেজাউল করিম বলেন, টেন্ডার ছাড়া কোন কাজ করার সুযোগ নেই। উন্নয়নমূলক কাজগুলো কোন প্রক্রিয়ায় হচ্ছে তা আমার জানা নাই। ফাইলপত্র দেখে বলতে হবে। জেলা প্রশাসক খান নুরুল আমিন জানান, কুড়িগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে সকল বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা আমার দায়িত্ব। তবে সে কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা বিধি ভাঙলে তার দায়দায়িত্ব সেই বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি বলতে পারিÑ দুর্নীতির ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
×