ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ১১ তৈরি পোশাক কারখানা কালো তালিকাভুক্ত হলো

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৭ মার্চ ২০১৬

আরও ১১ তৈরি পোশাক কারখানা কালো তালিকাভুক্ত হলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরের ১১টি তৈরি পোশাক কারখানায় যথাযথ নিরাপত্তা ঘাটতি চিহ্নিত করেছে উত্তর আমেরিকান ক্রেতাদের জোট এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি (এ্যালায়েন্স)। এর ফলশ্রুতিতে ওই কারখানাগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি। এর আগে এ্যালায়েন্সের নিরাপত্তা ঝুঁকির তালিকায় দেশের ৩১টি কারখানার নাম ছিল। এর সঙ্গে নতুন করে ১১টি কারখানার নাম যুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে এমন মোট ৪২টি কারখানা চিহ্নিত করেছে এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ক্রেতাদের জোট এ্যাকর্ড অন ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় রয়েছে ১৩টি তৈরি পোশাক কারখানা। অর্থাৎ আমেরিকা ও ইউরোপের জোট দুটির কালো তালিকায় রয়েছে মোট ৫৫টি কারখানা। আমেরিকান ক্রেতা জোটের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়া কারখানাগুলো হলো- সাভারের আনজির এ্যাপারেলস লিমিটেড (ইউনিট-১) ও সামিয়া গার্মেন্টস লিমিটেড; গাজীপুরের আসিফ এ্যাপারেল লিমিটেড, ইন্ডিগো ওয়াশিং লিমিটেড ও ভিন্টাগে প্রিন্ট এ্যান্ড এ্যারো লেভেলস; ঢাকার এলিট ফ্যাশন লিমিটেড, সো নাইস গার্মেন্টস (প্রা.) লিমিটেড ও স্টারলাইট নিউওয়্যার লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের ফ্রেন্ডস এ্যান্ড ফ্রেন্ডস এ্যাপারেলস লিমিটেড, ইনটেক্স লিংক গার্মেন্টস (বিডি) লিমিটেড এবং ভিলিয়্যান্ড গার্মেন্টস। এ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কারখানাগুলো শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সময় দেয়া হলেও তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। তাই ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় নতুন করে ১১টি কারখানা যুক্ত হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের এই জোট। এ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, ওই কারখানাগুলো জোটের শর্তপূরণ ও প্রয়োজনীয় প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ১৩০০ এর বেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপরই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্য এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি (এ্যালায়েন্স) গঠন করে উত্তর আমেরিকার ক্রেতারা। অন্যদিকে শ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তার নিয়ে কাজ করছে ইউরোপিয়ান ক্রেতাদের জোট এ্যাকর্ড অন ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। গত ২ বছরের বেশি সময়ে প্রায় ৪৭০টি কারখানা পরিদর্শন করেছে এ্যালায়েন্স। অন্যদিকে প্রায় ১৬০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে এ্যাকর্ড। এর মধ্যে ১০৬টি কারখানায় বিভিন্ন ত্রুটি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিল এ্যালায়েন্স ও এ্যাকর্ড। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়ায় জোটের ৪২টি কারখানাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে আমেরিকান ক্রেতাদের জোট। অন্যদিকে এ্যাকর্ডের কালো তালিকায় রয়েছে মাত্র ১৩টি কারখানা।
×