ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঝড়-বৃষ্টির ছোবলে ক্রিকেটপ্রেমীদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ৭ মার্চ ২০১৬

ঝড়-বৃষ্টির ছোবলে ক্রিকেটপ্রেমীদের ভোগান্তি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটপাগল! সেই পাগলামির ঢেউ আছড়ে পড়েছিল ফাইনাল ম্যাচের টিকেট সংগ্রহকে কেন্দ্র করে। বাঘের দুধও পাওয়া যায়, কিন্তু ফাইনালের টিকেট পাওয়া যেন তারচেয়ে কঠিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও তাই টিকেটপ্রত্যাশীদের সংঘর্ষ হয়েছে চাহিদামতো টিকেট না থাকায়। এমনকি খেলার দিন সকালেও মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের অস্থায়ী টিকেট বিক্রির বুথের সামনে পুলিশের লাঠিচার্জে পড়তে হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের টিকেট না পেয়ে হতাশায় বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির জন্য। তবে সকাল থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে পা ফেলার জো ছিল না জনস্রোতের জন্য। টিকেট সংগ্রহে যাদের মুখে হাসি ফুটেছিল সেই হাসি উবে গেছে খেলা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগেই ঝড়-তুফান এবং মুষলধারে বৃষ্টির ছোবলে। গ্যালারির দর্শকরা ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছেন, ভোগান্তিতে পড়েছেন সেজেগুজে আসা দর্শকরা। টি২০ বিশ্বকাপের মর্যদার সুপার টেন পর্বেও সরাসরি বাকি টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে খেলার সুযোগ নেই। সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে লড়ে প্রাথমিক রাউন্ডের গ-ি পেরোতে হয়। এবার সেসবের মোক্ষম জবাবই দিয়েছে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে। ওয়ানডে ক্রিকেটে একটি মর্যদার আসন দখল করে নিলেও টি২০ ক্রিকেটে এটা না পারায় দেশের ষোলো কোটি মানুষের মনেও একটা আক্ষেপ আর হতাশা জমে ছিল। তাই ফাইনালকে ঘিরে আবেগটাও ছিল বেশি। সেই আবেগে জল ঢেলে দিয়েছে ঝড়ের তা-ব এবং অঝোর বৃষ্টি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই ক্রীড়াপ্রেমী। ফাইনালেও শুরু থেকেই তিনি মাঠে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করবেন। এ কারণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সকাল থেকেই মিরপুর স্টেডিয়ামে র‌্যাব ডগ স্কোয়াড, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সসহ (এসএসএফ) অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারী ও বেসরকারী গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ আসে। এছাড়াও সাদা পোশাকে মিরপুরের আশপাশে ছড়িয়ে ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এমনকি এদিন মিরপুর দুই নম্বর থেকে শুরু করে প্রশিকা মোড় পর্যন্ত সব ধরনের দোকান-পাটও দুপুরের পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও কি ক্রিকেটপ্রেমীদের ঢল ঠেকানো গেছে? টাইগারদের এমন গৌরবময় ম্যাচে গ্যালারিতে বসেই তারা ১১ ক্রিকেটারের পক্ষ নিয়ে খেলতে উন্মুখ। টিকেট অনেকেই পাননি। হাজার হাজার দর্শক টিকেট বঞ্চিত হয়েছেন। শনিবার টিকেট নিয়ে হাহাকারের সঙ্গে যোগ হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও টিকেটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং আহতের ঘটনা। সেসব কিন্তু রবিবার ফাইনালের দিনেও শেষ হয়নি। আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল টিকেট নেই। কিন্তু এরপরও সেজেগুজে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় এসেছেন হাজারো দর্শক। এদের মধ্যে আছেন টিকেট বঞ্চিতরাই বেশি। আশা ছাড়েননি কেউ গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার। কারণ অস্থায়ী বুথে খেলার দিন টিকেট যেমন বিক্রি হয়, তেমনি সুযোগ আছে কালোবাজারিদের কাছ থেকেও পাওয়ার সম্ভাবনা। এ কারণেই জনস্রোত।
×