পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যশোরে ২৯৩ বায়োগ্যাস প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জ্বালানি ব্যয় হ্রাস ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে যশোরে বায়োগ্যাস প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)’র অধীনে যশোর জেলায় ব্যায়োগ্যাস প্ল্যান্ট প্রযুক্তি স্থাপন হয়েছে ২৯৩টি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পাইলট প্রকল্পের অধীনে এগুলো স্থাপন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্য মতে, ২০১৪-২০১৬ অর্থবছরে ‘বায়োগ্যাস প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিসিএসআইআর। প্রকল্পটি যশোরসহ দেশের ১৫ জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মাধ্যমে পাঁচ হাজার পারিবারিক বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। যার ৯৫ দশমিক ৮৪ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের পরিচালক উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম আছাদুজ্জামান সুজন বলেন, প্রকল্পের অধীনে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা ব্যতিত অন্য সাতটি উপজেলায় ২৯৩টি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। হাঁস-মুরগি, ছাগল, ভেড়ার মলমূত্র, আবর্জনা ইত্যাদি দিয়ে এটি স্থাপন করা হয়। গ্রাহকরা সম্মত হলে তারা মালামাল ক্রয়ের জন্য ১২ হাজার টাকা নগদ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করেন। বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বায়োগ্যাস ব্যবহারে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়। এর মাধ্যমে রান্নায় এক-তৃতীয়াংশ খরচ কম লাগে। সময়ও বেঁচে যায়। এছাড়া ২৫ থেকে ৩০ বছর যাবত স্থায়ী হয়। তিনি আরও বলেন, যশোর ও সিলেটে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রস্তাব দেয়া আছে। এটা হলে এ অঞ্চলে এর প্রসার আরও বাড়বে। উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ জামাল বলেন, ‘বায়োগ্যাস প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি (২য় পর্যায়)’ বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ৭৫ হাজার ২৬১ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস পাবে। সাশ্রয় হবে ৯ হাজার ১২৫ টন জ্বালানি। উৎপাদিত হবে ৩৬ হাজার ৫০০ টন জৈব সার। যা থেকে ৩১ কোটি টাকা অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয় হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিসিএসআইআর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক।