ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু তহবিল থেকে বিনাসুদে অর্থায়ন করতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

জলবায়ু তহবিল থেকে বিনাসুদে অর্থায়ন করতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশের মধ্যে একটি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অন্যতম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। তাদেরই দায়িত্ব বিশ্বকে এ অবস্থা থেকে বের করে আনার। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তনগত ঝুঁকি প্রশমন ও অভিযোজনে যা করা প্রয়োজন, তার সবগুলোতেই অর্থের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনুদান বা সহযোগিতা চাইতে পারে, কিন্তু কোন অবস্থাতেই ঋণ নয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পিকেএসএফ ভবনে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের (বিইউপি) যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রযুক্তি স্থানান্তর : নীতি ও বাংলাদেশ ইস্যু শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নুরুল করিম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর এ্যাডভান্স স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রযুক্তি স্থানান্তর : নীতি ও বাংলাদেশ ইস্যু শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান ইনস্টিটিটিউট অব টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সালাম। ড. খলীকুজ্জমান বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অন্যতম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সামান্য উঁচুতে অবস্থিত দেশগুলোর জন্য দিন দিন তা মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠছে। এ দেশগুলোর প্রতি উন্নত দেশগুলোর একধরনের দায় রয়েছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গঠিত তহবিল থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বিনাসুদে অর্থায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থানও দৃঢ় বলে উল্লেখ করেন তিনি। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নুরুল করিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও অভিযোজনে উন্নত প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া উপায় নেই। এক্ষেত্রে তুলনামূলক কম সক্ষম দেশগুলোর দিকে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।
×