ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চমেক হাসপাতালে ছুটি বাতিল

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলার জের ॥ বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলার জের ॥ বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে দ্বিতীয় দিনের মতো সকল বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। এতে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত সেবা বন্ধ রাখায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবার ছুটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে সরকারী হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েছে। চমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সেবা বন্ধ থাকায় রোগীদের দিকটি বিবেচনা করে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে গত বুধবার এ প্রতিবাদী কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হয়। আকস্মিক এ কর্মসূচীতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বেসরকারী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা। চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারী সার্জিস্কোপ হসপিটালে গত ৯ জানুয়ারি সিজার করে সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণ করেন মেহেরুন্নেসা নামের এক প্রসূতি। হতভাগ্য এ প্রসূতি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছোটভাই খাইরুল বশরের কন্যা। এই মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মাহবুবুল আলম ও ডাঃ শামীমা রোজীকে দায়ী করেন মৃতের স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ক্ষুব্ধ স্বজনরা সেদিন ওই হসপিটালে ভাংচুরও করেন। সার্জিস্কোপ হসপিটালে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ডাঃ মাহবুবুল আলম, ডাঃ শামীমা রোজী ও ডাঃ রানা চৌধুরীকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে শেষোক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অপারেশনের পর রোগীর পেটে ব্যান্ডেজ রেখে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলা দায়েরের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় চিকিৎসক মহলে। এদিকে বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডাঃ মজিবুল হক খান জানিয়েছেন, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট ক্লিনিকে আইসিইউ ও সিসিইউতে জরুরী সেবা অব্যাহত থাকবে। জরুরীভিত্তিতে রোগীদের সেবা দিতে বিএমএ’র পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
×