ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাকপল্লী স্থাপনে চুক্তি

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

পোশাকপল্লী স্থাপনে চুক্তি

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে পোশাকপল্লী স্থাপনে তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সম্প্রতি নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বিজিএমইএর সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকার পাশে ১০ দশমিক ৩৬ একর জায়গায় এই শিল্পপল্লী স্থাপন করা হবে। বিদেশী ক্রেতাদের জোটের বিধি ও শর্ত মেনে ওই পল্লীতে অবকাঠামো নির্মাণ করবে সিটি কর্পোরেশন। পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুত ও পানি-সংযোগও নিশ্চিত করবে কর্পোরেশন। আর পরবর্তী সময়ে নির্মাণ খরচ বাবদ বরাদ্দপ্রাপ্ত কারখানা মালিকদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হবে। বিজিএমইএর সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ছাড়াও শ্রমসচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএর সহসভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, প্রথম সহসভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদও বক্তব্য রাখেন। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিদেশী ক্রেতাদের জোটগুলোর শর্ত মেনেই পোশাকপল্লীতে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই পোশাকপল্লী হচ্ছে। শ্রমসচিব মিকাইল শিপার বলেন, এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের শর্ত না মানায় সারাদেশে ৩৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে মাত্র ১১টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চুক্তির কিছু শর্তের সঙ্গে আমি একমত নই। তারপরও যেহেতু চসিক প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সেহেতু এটিকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। চুক্তি অনুযায়ী, পোশাকপল্লীটিতে ১০-১১টি ভবন নির্মিত হবে। প্রতিটি ভবনের প্রতিটি মেঝের আয়তন হবে ২০ হাজার বর্গফুট। প্রতিটি ভবনে ৮ ফুট চওড়া চারটি সিঁড়ি ও চারটি লিফট থাকবে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) থাকবে। ভবনগুলোর প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর ৫ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়বে। সিটি কর্পোরেশন, বিজিএমইএ ও বরাদ্দ গ্রহীতার মধ্যে ১০ বছরের চুক্তি হবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হবে। কমপক্ষে ৪০ বছর পর্যন্ত এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বলবৎ থাকবে।
×