ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দলীয় অফিসের সামনে জনসভায় ভাষণ

সংলাপ চাইলেন খালেদা, ভারতকেও বার্তা দিলেন

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

সংলাপ চাইলেন খালেদা, ভারতকেও বার্তা দিলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশটাকে আর ধ্বংস করবেন না। আসুন সংলাপ করে সমাধানের পথ বের করে আনি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনি। কারও প্রতি আমাদের রাগ-ক্ষোভ নেই। তবে যা করেছেন ভুল করেছেন, মনে মনে তা স্বীকার করুন। ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দেব না, দেশের মাটি ব্যবহার করে কাউকে অন্য দেশের ওপর হামলা করতে দেব না। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করতে এ জনসভার আয়োজন করে বিএনপি। খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব তাদের। দেশে গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কেবল গণতন্ত্রই হত্যা করেনি, মানুষ হত্যা করে দেশে রাজতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছে। বহু চেষ্টা করেছে, এর আগেও একবার চেষ্টা করেছে একদলীয় শাসন কায়েম করার। কিন্তু পারেনি। তিনি বলেন, মানুষ হত্যা, গুম ও খুন করে করে রাজতন্ত্র কয়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে তা কোন ভাল ফল বয়ে আনবে না। তনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ফাঁদে ফেলার জন্য কথায় কাথায় নতুন আইন করছে নিজেদের স্বার্থে। কিন্তু আইন করে জনগণকে কখনও আটকানো যায় না। যে আইন জনগণের কোন কল্যাণ করে না সেটা মানুষ কোনদিন গ্রহণ করে না। আর গুম-খুন করে কেউ কোনদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি এ সরকারও পারবে না। খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জঙ্গীদের সম্পর্ক। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে প্রথম জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছিল। অথচ তারা জঙ্গীবাদের দায় বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। আর এ জন্যই আওয়ামী লীগ বিদেশীদের ভয় দেখায় বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নাকি দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান হবে। পরিকল্পিতভাবে দেশকে ফোকলা করে দিতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। তাই জালিম এ সরকারকে বিদায় করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর চাই না। সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অভয় দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ প্রশাসনের লোকদের ভয় দেখায় যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তাদের চাকরি চলে যাবে। আমি অভয় দিচ্ছি, তাদের চাকরি যাবে না। বিএনপি রাজনৈতিক বিবেচনায় অতীতে কখনো এ কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তাদের উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। সরকার যাবে-আসবে, কিন্তু আপনারা থাকবেন। তাই ভয়-ভীতির উর্ধে উঠে নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে দক্ষতা, যোগ্যতা বিবেচনা করে প্রমোশন দেয়া হবে। প্রমোশনের ক্ষেত্রে দল দেখা হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইয়েরা বিশেষ করে পুলিশ ও র‌্যাবকে বলছি, অন্যায় আদেশ-নিষেধ মানবেন না। জনগণের ওপর নির্যাতন করবেন না। অন্যায়ভাবে দেশের মানুষকে হত্যা করবেন না। সীমান্তে ক্রস ফায়ার হয়, দেশের ভেতরও যদি হয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? সেনাবাহিনীর প্রতিও আমার একই কথা। দেশের কৃষক-শ্রমিক-জনতাকে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। কোন দিন তার এ রক্তের হাত পরিষ্কার হবে না। তাই এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কর্মসূচী এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের গ্রামেগঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র বিএনপি ও ধানের শীষ আছে। তাই মামলা, হামলা ও অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দলের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই গণতন্ত্রের জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে। আওয়ামী লীগের উচিত সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে অবিলম্বে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা। নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব ও মেরুদ-হীন আখ্যায়িত করে খালেদা জিয়া বলেন, ভোটার ছাড়া পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। জনগণ এ নির্বাচন মেনে নেয়নি। সরকার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। কিন্তু র‌্যাব, পুলিশ, ছাত্রলীগ ছেড়ে জনগণের ভোটের আয়োজন করলেই জনপ্রিয়তা যাচাই করা যাবে। পৌর নির্বাচনে ভোট ছিনতাই হয়েছে দাবি করেন তিনি বলেন, দেশের মানুষ জেনে গেছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসেছে তাই জনসভাকে ভয় পায়। তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীও পালন করতে দেয় না। এ সরকার দেশ ধ্বংসের জন্য কাজ করছে। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, গুম-খুন বন্ধ করে গণতন্ত্রের পথে আসুন। তা না হলে মানুষ জেগে উঠবে। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে আমরা সেনা মোতায়েনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য সরকারের দালালি করতে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় বসে আছে লুটপাট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করতে। কিন্তু আজ দেশে প্রয়োজন জনগণের সরকার। তিনি শিক্ষক ও ২৬ ক্যাডারের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অবিলম্বে সরকারকে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, অনৈক্য সৃষ্টির জন্য নয়। ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তোমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ‘বাঘে ধরলে ছাড়ে ছাত্রদল ধরলে ছাড়ে না’Ñএভাবেই তোমরা কাজ করবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, সঠিক পথে আসুন, গণতন্ত্রের পথে আসুন। না হলে কিন্তু জনগণ কখন জেগে উঠবে বলা যায় না। জনগণকে আর বেশিদিন ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। ২০১৩ সালে ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, একটু ফেয়ার ইলেকশন হলেই বিএনপি জয়লাভ করে সে নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিবের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি এমনকি লাট সাহেব হয়ে গেছেন যে, সাবেক মন্ত্রী তার কার্যালয়ে গেলেও তাকে বসিয়ে রাখা হয়। তার সঙ্গে তিনি দেখা করেন না। খালেদা জিয়া বলেন, আজকের দিনটি গণতন্ত্র হত্যার দিবস। আমি জানতে চাই ৫ জানুয়ারি কি কোন ভোট হয়েছিল? আমরা দেখেছি, ৫ জানুয়ারির আগেই ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেছে। সরকার অবৈধ, এ সংসদও অবৈধ। ওই নির্বাচনে আমরা কি দেখেছিলাম? সেই নির্বাচনে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট অংশ নিয়েছিল। ওই জোটে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি সব পরগাছা। আমরা সে নির্বাচনে অংশ নেইনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির জনসভা দেখলে ভয় পায়। এ কারণে তারা আমাদের জনসভা করতে দেয় না। সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ফাঁদে ফেলার জন্য কথায় কাথায় নতুন আইন করছে, মানুষকে আটকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে তাদের শেষ রক্ষা হবে না। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি-নির্যাতনের জন্য সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার কর অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইয়েরা এখানে আছেন। তাদের প্রতি বলব, তোমরাতো দেশেরই ছেলে। এত অত্যাচার, এত কষ্ট, গুম খুন করা এটা কি ঠিক? তোমাদের দিয়ে অন্যায় কাজ করাচ্ছে। আমি বলছি না পুলিশ বাহিনী খারাপ কিন্তু সরকার তাদের নষ্ট করছে। এসব বন্ধ করার দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ। আমরা যদি সকলে মিলে-মিশে থেকে কাজ করি, দেশকে আমরা একটি সুন্দর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ গণতান্ত্রিক অধিকার। তা সভা-সমাবেশ করা বন্ধ করবেন না। সরকার দুর্নীতির সুযোগ করতে এবং কারচুপির ভোটে আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকতেই এককভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, এই সংবিধানে জনগণের কল্যাণের কিছু নেই। তারা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ইচ্ছে মতো সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছেন। আমরাও করতে পারতাম কিন্তু করিনি কারণ, আমরা দুর্নীতি করি না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। টেলিভিশনে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান টকশোতে কারা যাবে তা সরকার আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ সরকার বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। এ কারণেই কে টকশোতে যাবে কে যাবে না তা বলে দেয়া হয়। আর সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললে তাকে মামলা দিয়ে বন্দী করা হচ্ছে। এই হলো সত্যিকারের অবস্থা। তাই টকশোতেও আজকে কেউ কথা বলতে পারে না। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন নিজেদের বাড়িতে থাকতে পারছে না। মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই দেশের ক্ষতি করেছে। পরীক্ষায় পাসের হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আওয়ামী লীগ নেতারা নাকি হলে বসে খাতায় লিখে দেয় তাই পাসের হার বেড়েছে। এভাবে তারা ছাত্রদের চরিত্র নষ্ট করে দিচ্ছে। এ সরকার মহিলা ও সংখ্যালঘুদের ওপরও নির্যাতন করছে। বেলা সোয়া ২টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলে প্রথমে রাখেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। আর সমাবেশ শেষ হয় বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। খালেদা জিয়া বেলা পৌনে ৩টার দিকে মঞ্চে এলে নেতা-কর্মীরা করতালি ও সেøাগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। তিনিও হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামন দুদু, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবদিন, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ। মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের আমলে আমাদের ২৬৭ জন নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, গণতন্ত্র না থাকায় দেশে উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদের উত্থান হচ্ছে। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তা প্রতিরোধ করতে হবে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র আজ গুম হয়েছে। আমরা গণতন্ত্রের মুক্তি চাই।
×