ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কেপটাউন টেস্ট

আমলার সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার জবাব

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

আমলার সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার জবাব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অধিনায়ক হাশিম আমলার ফর্মে ফেরা সেঞ্চুরির ওপর ভর করে কেপটাউন টেস্টে ইংলিশদের জবাব দিচ্ছে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা। তৃতীয় দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় ১০৮.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩১৮ রান। ১৪৮ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন আমলা। তার আগে দ্বিতীয় দিনেই বেন স্টোকর্সের রেকর্ডময় ডাবল সেঞ্চুরির (২৫৮) সৌজন্যে ৬ উইকেটে ৬২৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারী ইংল্যান্ড। অতর্কিতে স্টোকসের রান-বন্যা বইয়ে দেয়া যেমন বিস্ময়কর, তেমিন আমলার ঘুরে দাঁড়ানোটাও আলোচিত। ব্যাট হাতে প্রোটিয়া অধিনায়কের সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছিল না। তার ওপর প্রথম টেস্টে বড় হারে ঘরের মাটিতে চার ম্যাচের এই সিরিজে পিছিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে সোমবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক ইনিংসের আলোচিত দিক আমলার সঙ্গে ওয়ানডে অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের জুটি। তৃতীয় উইকেটে দলের ভা-ারে মহামূল্যবান ১৮৩ রান যোগ করেন দু-জনে। তার আগে দ্বিতীয় উইকেটে ডিন এলগার (৪৪)-আমলা করেন ৭৮ রান। ৮৮ রান করে স্টিভেন ফিনের বলে জেমস এ্যান্ডারসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডি ভিলিয়ার্স। তার ইনিংসটি ১২ চার ১ ছক্কায় সাজানো। ৬৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা আমলা ২১০ বলে ১৬ চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ২০১৫ সালে সেঞ্চুরি তো দূরের কথা কোন হাফসেঞ্চুরিও ছিল না প্রোটিয়া অধিনায়কের! ২০১৪Ñএর ডিসেম্বরে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সেঞ্চুরির (২০৮) দেখা পেয়েছিলেন তিনি। কালকের এই সেঞ্চুরির আগে নিজের শেষ ১০ টেস্ট ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩সহ ১৫ গড়ে করেছিলেন মোটে ১৫০ রান! ওয়ানডে-টি২০তেও যাচ্ছেতাই অবস্থা দলটির আধুনিক সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যানের। হাশিম আমলার ক্যারিয়ারে এমন সময় আগে কখনও আসেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই যে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন, সেখানে এমন বাঁধ আর কখনও পড়েনি। নবেম্বর পর্যন্ত নিজের ১৫ ওয়ানডেতে রান ছিল ৩৯২, সেঞ্চুরি মোটে একটি। গড় ২৬! এমন ফর্ম আমলার নামের সঙ্গে ছিল বড্ড বেমানান। বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচের পর আমলার ওয়ানডে গড় ছিল ৫৬.৭২। ভারতের বিপক্ষের সিরিজের পর সেটি নেমে আসে ৫২.৭০-এ। যাই হোক, সেটি ভিন্ন বিষয়। তবে ব্যাট হাতে একেবারে মোক্ষম সময়ে ফর্মে ফিরলেন সাদা পোশাকের দক্ষিণ আফ্রিকান সেনাপতি। যখন ম্যাচ ও সিরিজে আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভীষণ চাপে প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের গল্পটা কেবলই স্টোকসের। খেলেন ২৫৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি ও দ্রুততম ২৫০Ñএর নতুন রেকর্ড। বেয়ারস্টো উপহার দেন অপরাজিত ১৫০ রানের এক ইনিংস।
×