ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তায় পানি স্বল্পতা ॥ কমেছে সেচের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৪ জানুয়ারি ২০১৬

তিস্তায় পানি স্বল্পতা ॥ কমেছে সেচের লক্ষ্যমাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের খরিপ-১ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম। উজানের পানি প্রবাহ দিন দিন কমে আসায় তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প কমান্ড এলাকার পরিধি এবার অনেকাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। চলতি খরিপ-১ সেচ মৌসুমে বোরো আবাদে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র দশ হাজার হেক্টর জমিতে। ফলে নদীর পানি স্বল্পতার কারণে তিস্তা সেচ এলাকার সুবিধাভোগী কৃষকরা মহাসঙ্কটে পড়তে পারে। এ জন্য তাদের নির্ভর করতে হবে গভীর ও অগভীর নলকূপে। ফলে তিস্তার সেচের পানির ব্যাপক চাহিদার কারণে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বেকায়দায় পড়তে পারে। প্রথম পর্যায় তিস্তা সেচ প্রকল্পে কমান্ড এলাকায় সেচ প্রদানে জমির পরিমাণ ছিল নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার প্রায় এক লাখ ১১ হাজার হেক্টর। কিন্তু সম্ভাবনা জাগিয়েও বারবার থেমে যাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি। শনিবার তিস্তা অববাহিকার উজানে নদীর পানির প্রবাহ এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার কিউসেকে। ভাটি অঞ্চল পানি শূন্য। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি কপাট বন্ধ রেখে উজানের অংশের পানি ধরে রেখে তা সেচখালে প্রবেশ করানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে সেচ প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু নদীর পানি স্বল্পতায় সেচ প্রদান সম্ভব হয়েছিল মাত্র ৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে এবার মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই পরিমাণ জমির মধ্যে শুধুমাত্র নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর, জলঢাকা উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর ও নীলফামারী সদরের কিছু অংশের ৫শ’ হেক্টর। ফলে সেচের পানি থেকে বঞ্চিত হবে নীলফমারীর ১৮ হাজার ৫শ’, দিনাজপুর জেলার ২০ হাজার ও রংপুর জেলার ১৭ হাজার হেক্টর জমি। তবে উজানের পানি প্রবাহ পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে কমান্ড এলাকা বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুবা নয়। ৩১ ডিসেম্বর রংপুর তিস্তা ভবনে প্রধান প্রকৌশলী আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেচ প্রদানের বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের তিস্তার পানি প্রবাহ কম থাকায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
×