ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্লাস্টিকের খেলনা তৈরি ॥ আত্মকর্মসংস্থান

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

প্লাস্টিকের খেলনা তৈরি ॥ আত্মকর্মসংস্থান

চাকুরী পাচ্ছেন না, তাই বলে কি বেকার বসে থাকবেন? শুরু করতে পারেন প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির ব্যবসা। মাত্র পঁিচশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা মূলধন নিয়েই এ ব্যবসা শুরু করা যায়। এজন্য প্রশিক্ষণ নেয়া প্রয়োজন। প্লাস্টিকের কারখানাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে কিংবা এ ব্যবসা করে এমন অভিজ্ঞ লোকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শুরু করা যায় খেলনা তৈরির ব্যবসা। সরজ্ঞাম ও আয়-ব্যয় প্রথমেই কিনতে হবে একটি স্ট্যাম্প মেশিন, পাঁচটি ডাইস, দুটি টেবিল, তিনটি হাত পাম্প মেশিন ও একটি ফাইলিং মেশিন। এগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় বারো হাজার টাকা। কাঁচামাল হিসেবে কিনতে হবে মারলেস পাউডার, এল গাথেন পাউডার, পিপি পাউডার, রিপিট, ব্যাগ, রশি। ২৮৭ গ্রোস খেলনা তৈরির কাঁচামাল বাবদ খরচ পড়বে প্রায় আট হাজার টাকা। ঘরভাড়া,বিদ্যুত বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ব্যয় হতে পারে অবস্থানভেদে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা। প্রতি গ্রোস খেলনার পাইকারি মূল্য আনুমানিক ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা হিসেবে ২৮৭ গ্রোস খেলনায় আয় হতে পারে ৪১৬১৫ থেকে ৪৩০৫০ টাকা। খেলনা তৈরির নিয়ম প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে দানাগুলোকে মেশিনের হাপরের মধ্যে ঢালতে হয়। এরপর হাওয়া মেশিন চালু করতে হয়। যখন সিলিন্ডারে পিস্টনের চাপ পড়ে তখন প্লাস্টিক গরম হয়ে তরল আকারে বইতে থাকে। এই তরল প্রথমে ইঞ্জেকশন নলে ইঞ্জেকশন প্রান্তে এসে পৌঁছায়। এর প্রধান মুখে একটি স্টক থাকে। এই স্টকের কাজ হলো, যে বস্তুটি তৈরি করা হবে তার আকার দেয়া হয়। স্টকে ছোট ছোট ছিদ্রপথ থাকে। এগুলোকে গ্রেডস বলে। এই গ্রেডসের বিভিন্ন ছিদ্র পথে ছাঁচে গরম তরল প্লাস্টিক ভরে যায়। ছাঁচগুলোকে পানি দিয়ে ঠা-া রাখতে হয়। যতক্ষণ না প্লাস্টিক ছাঁচের মধ্যে পৌঁছাবে ততক্ষণ পিস্টনকে চাপের মধ্যে রাখতে হয়। ঠাণ্ডা হওয়ার পর ছাঁচটি খুলে প্লাস্টিকের খেলনাটি বের করে আনতে হবে। স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে চাইলে প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির ব্যবসায় নেমে যেতে পারেন। তবে এরজন্য চাই একাগ্রতা, প্রশিক্ষণ এবং বিপণন দক্ষতা। অর্থনীতি ডেস্ক
×