ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামাবাদের পক্ষে সার্টিফিকেট দেবে না মার্কিন প্রশাসন

পাকিস্তান হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২১ আগস্ট ২০১৫

পাকিস্তান হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি

পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সন্ত্রাস দমন অভিযান হাক্কানি নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করেছে- এ মর্মে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের কাছে কোন সার্টিফিকেট দেবে না। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে এ কথা জানিয়েছে। এ মার্কিন সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানকে সামরিক অভিযানের অর্থসহায়তা কোয়ালিশন সাপোর্ট ফান্ডের (সিএসএফ) পরবর্তী কিস্তি প্রদান বন্ধ রয়েছে। খবর ডন অনলাইনের। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর ওয়াশিংটনের পাকিস্তান মিশনকে এবং ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষকে ওই কথা জানায়। উচ্চপদস্থ সূত্রে এটি জানা যায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন বার্তা নিয়ে কোন প্রশ্নের তাৎক্ষণিক জবাব দেয়নি; কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা তাদের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে বলে ঘরোয়াভাবে জানান। মার্কিন সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের জন্য আর্থিক দিকের তুলনায় রাজনৈতিক দিক দিয়ে বেশি ক্ষতিকর। আরও গুরুত্বপূর্ণ কথা এটি এমন সময় প্রকাশ পেল, যখন আফগাস্তিানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। কারণ কাবুল অভিযোগ করছে যে, ইসলামাবাদ তালেবান ঘাঁটিগুলোকে নিরাপদ রাখছে এবং সেখান থেকেই আফগান ভূখ-ে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। মার্কিন সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অক্টোবরে নির্ধারিত হোয়াইট হাউস সফরের আগে দুই দেশের সম্পর্কেও তিক্ততা সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে এর তৎপরতায় সরাসরি সহায়তা দিতে গিয়ে পাকিস্তানের ব্যয় মেটাতে অর্থ প্রদান করে এসেছে। এ বন্দোবস্তের আওতায় পাকিস্তানকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩শ’ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিএসএফ বন্দোবস্তের অবসান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন সরকার গত বছরের শেষদিকে আইন তৈরির মাধ্যমে ওই কর্মসূচীর মেয়াদ আরেক বছর বাড়িয়ে দেয়। তবে এতে কয়েকটি বাড়তি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এদের মধ্যে একটি ছিল এই যে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পরিচালিত সামরিক অভিযান পাকিস্তানের হাক্কানি নেটওয়ার্কের নিরাপদ আস্তানা ও চলাফেরার স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে কংগ্রেসের কাছে সার্টিফিকেট দিতে হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে প্রতি ছয় মাস পরপর কংগ্রেসের কমিটিগুলোর কাছে ওই সার্টিফিকেট দিতে হবে। পাকিস্তান গত মাসে ওই অর্থের সর্বশেষ বিপত্তি হিসেবে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার পায়। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট দেয়া না হলে পরবর্তী কিস্তি পেতে সমস্যা হবে। পাকিস্তানে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সেনা অভিযান অপারেশন জারব-ই-আজব থেকে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে রেহাই দেয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান উভয়েই অতীতে আশঙ্কা ব্যক্ত করে। কিন্তু এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র এরূপ কোন কঠোর পদক্ষেপ নিল।
×