
কক্সবাজার জেলাজুড়ে হঠাৎ করে জোরদার করা হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। বুধবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ২৫ জন নেতাকে নিজ বাড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মণ্ডল, রাজারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, চাকমারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ফতেখারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেম্বার আবু তাহের টুনু, ঈদগাঁও ইসলামাবাদ ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওসমান গণি, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসাইন মিথুন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ. মনজুর, সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মেম্বার সিরাজুল বশর, দানু মিয়া চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল মনজুর, আওয়ামী লীগ নেতা রিদুয়ান ইসলাম, চকরিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ, পেকুয়া উপজেলার সাবেক এমপি জাফর আলমের ভাগিনা হাসান আল বশির, আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মাদু মেম্বার, মগনামা নুন্যার পাড়ার মোস্তাক মিয়া, মহেশখালীর যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, এমপি আশেকের ঘনিষ্ঠ সহচর সাদ্দাম, আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ মেম্বার, সিরাজ মেম্বার, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন, লেমশীখালী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন।
এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরানসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। নিয়মিত এই অভিযান চলমান থাকবে।”
সজিব