
ছবি: জনকণ্ঠ
রৌমারী উপজেলার ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠ রক্ষার্থে মানববন্ধন করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সমাজসেবক, ক্রীড়াপ্রেমী সাধারণ মানুষ। এ সময় তাঁরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন।
জানা যায়, এলজিইডি এর রিভার প্রকল্পের আত্ততায় ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়। এই সিদ্ধান্তে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। কারণ হিসাবে এলাকাবাসী বলছে যদি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের ফলে মাঠটি পুরোপুরি দখল হয়ে যাবে এবং শিশু-কিশোরদের ক্রীড়াঙ্গন হারিয়ে যাবে চিরতরে।এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে, মাঠে নয়,অন্যত্র বিকল্প জায়গায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হোক। জনস্বার্থে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে মাঠটি যেন সংরক্ষিত রাখা হয়। এলাকাবাসীরা বলেন, এটা আমাদের এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয়ের সামনের মাঠটি শুধু একটি স্কুল মাঠ নয়, এটি আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী ও কিশোর-কিশোরীর খেলাধুলার একমাত্র উন্মুক্ত স্থান। দীর্ঘদিন ধরে মাঠটি এলাকার ক্রীড়াচর্চা, সামাজিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন গণ-উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে।
ছাত্র রাসেল,হাকিম আলী বলেন,উন্নয়নের নামে যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ, মাঠ, খোলা জায়গা ধ্বংস হয়, তাহলে সেই উন্নয়ন একপাক্ষিক ও জনবিচ্ছিন্ন। ফুলবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন,এই মাঠ আমাদের সন্তানের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত। এখানে প্রতিদিন খেলা করে শত শত শিশু। আমরা আশ্রয়কেন্দ্র চাই, কিন্তু তা যেন আমাদের খেলার মাঠ ধ্বংস করে না হয়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী চায় উন্নয়ন হোক, তবে তা যেন জনস্বার্থ রক্ষা করে। খেলার মাঠ নষ্ট করে আশ্রয়কেন্দ্রের কোনো প্রয়োজন নেই। এ যাবৎকালে এমন কোন ঘটনা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেনি যার জন্য আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র লাগবে।আমাদের এলাকায় কোন নদী ভাঙ্গন নাই,তাহলে কেন এখানে আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। যদি তা করা একান্তই প্রয়োজন হয় তাহলে এর বিকল্প অনেক জায়গা আছে। মাঠের বিপরীত পাশে দুটি পুকুর রয়েছে যেটি ভরাট করে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব তাহলে খেলার মাঠ ধ্বংস করে কেন আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। জনগণের জন্যই যদি আশ্রয়কেন্দ্র বরাদ্দ থাকে আমরা সাধারণ জনগনই এটি চাই না।
শিহাব