ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

বিজয়নগরে নৌযানে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

হীরা আহমেদ জাকির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ১৫:২১, ১৯ জুন ২০২৫

বিজয়নগরে নৌযানে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিভিন্ন ইটভাটায় ইট পুড়ানোর মৌসুম শুরুর আগেই ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

কৃষকদের নানাভাবে বুঝিয়ে ও টাকার বিনিময়ে ফসলি জমির মাটি কিনে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। পরে তারা ওই মাটি বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করছে।

বর্তমানে বর্ষাকাল হওয়ায় মাটি পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে নৌযান। বিশেষ করে নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমির ওপরিভাগের মাটি, নদীর পাড় ও টিলা ভূমির মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হতো। তবে এখন অধিকাংশ জায়গায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন সম্ভব না হওয়ায় ইটভাটা মালিকরা নৌপথ বেছে নিয়েছেন।

পবিত্র ঈদুল আযহার দীর্ঘ ছুটির সুযোগে ইটভাটা মালিকরা বাধাহীনভাবে নৌকায় করে মাটি কাটছে এবং এখনো সেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

কৃষিজমির টপসয়েল বা ওপরের স্তরের মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ধরনের অপরাধে দুটি আইনে রয়েছে একক শাস্তির বিধান। এসব কাজে জড়িতদের ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, অধিক অর্থের লোভে পড়ে না বুঝেই অনেক কৃষক মাটি বিক্রি করছেন। এতে তারা সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ফসলি জমির ওপরিভাগের মাটিতেই জমির সব উর্বরতা থাকে, তাই এই মাটি কোনোভাবেই কাটা যাবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধনা ত্রিপুরা দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, নৌযানে মাটি পরিবহনের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সজিব

×